Thursday, April 18, 2019

কল্যাণব্রত বসাক

দ্বান্দ্রিক সতী (৩য় পর্ব)

সেই  হার্ডসেন্টারে হৃদয়ের শুষ্কতা জনিত কঠিন রোগের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে আরোগ্য জাতের আশায় মনোরাজ্যের সম্রাজ্ঞীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সমীরণ সরকার রুমিকে ।
 
সমীরণ সাব্রুম সরকারী মহাবিদ্যালয়ের দর্শন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে পড়ছে থার্ড ইয়ারে ।  তার অসাধারণ বুদ্ধি দীপ্ত চেহারা । প্রায় ছয় ফিট লম্বা, চওড়া বুক , মেজহীন অপূর্ব দেহ ।  ব্যাডমিন্টন , ভলিবল, টেবিল টেনিস, ক্রিকেট সব খেলাতেই দারুণ দক্ষ। চলনে বলনে, আচার ব্যবহারে এই মনোহর  কত ঘুম তাড়িয়েছে।

ক্রীড়াবিদরা প্রেমকে খেলা হিসেবে যদি গদ্য করেন , তবে সমীরণ সেই খেলাতেও ওস্তাদ । না হলে কেন্দ্রীয় সরকারে এক ঝানু অফিসারের অহংকারী ধাচের মেয়ে নিয়ন্ত্রণের বেড়াজাল   ছিন্ন করে  সমুর ডে বাইট ভলিবল খেলা দেখাতে রাত এগারোটা পর্যন্ত মাঠে থাকলেও কোন যুক্তিতে,আর আগরতলা রাজ্য ভিত্তিক টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় সমু অংশগ্রহন করছে শুনে মাসীর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার নাম দিয়ে রুমি বান্ধবীর বাড়িতে উঠল কেন ?

সমু রুমির প্রেম কাহিনী বন্ধুমহল এবং অভিভাবক মহল পর্যন্ত জেনেছেন । টাউন হলে পাশাপাশি বসে মঞ্চাভিনয় দেখা , ভোরে রাস্তায় হাঁটা,বিকেলে নদীর ধারে বসে গল্প করা অনেকেরই চোখে পড়েছে । মাঝে মাঝে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গিয়েগিয়েও দাঁড়াতো। এইসব দৃশ্য দেখে শুনে কোন কোন বয়স্ক লোক ঈর্ষার চোখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বাড়ি গিয়ে বিগত যৌবনা স্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন এই ভেবে যে " আমাদের সময় কি আর এইভাবে চলতে পারতাম।"

রুমির বাবাও কথাটা শুনেছেন। অবাক হয়েছেন অপ্রত্যাশিত কথা শুনে ।  রুমি যে এমন টা করতে পারেন , তিনি কখনো ভাবেন নি। বুদ্ধিমতি রুমি সাত- পাঁচ করে ওর পছন্দ মতো বুঝিয়ে ফেলেছে। অনেক ফাঁকি দিয়েছে রুমি , ধুলো দিয়েছে অনেক বান্ধবীদের চোখে । কেবল ঠকাতে পারেনি নিন্দুকদের । ওরা সমু-রুমির প্রেম ঘটিত নিন্দা জল রুমির গর্ভপাত পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়েছে।

ওরা বিশ্ব নিন্দুক, ওরা তিলকে তাল করতে পারে ।আমরা অতি সাধারণ । আমাদের চোখ আছে দেখবো। কান আছে শুনবো।  আধ বাড়ি কথা বলার দরকারটাই বা কি ?

মুরলি মোহন সেন । ভদ্রলোকের দারুণ চৌকস্ বুদ্ধি । নিরালে নিঃশব্দে ছুটি কাটাতে বাড়ি যাওয়ার  অছিলায় বদলির কাগজ নিয়ে নেয় । ছুটির পর জয়েন করে একেবারে ত্রিপুরার বাইরে। স্বাভাবিক ভাবেও রুমিকে যেতে হয় , তার পরিবারের সঙ্গে । নতুন জায়গায় খাপ খাওয়াতে , পরিবেশ স্টাডি করতে , পড়াশুনায় মন বসাতে ।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...