Thursday, June 13, 2019

শতরূপা ভট্টাচার্য

পূজাচর্না

শব্দটির ব্যবহার রোজই আমাদের জীবনে ঘটে,, ব্যক্তিগত ভেদাভেদ থাকে। কিন্তু সকলের জীবনে ব্যবহার হয়। শব্দটি হল পূজা। স্বাভাবিকভাবে পূজা শব্দটি ঈশ্বরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্কযুক্ত। আমরা ঈশ্বরের নিকট ভক্তি নিয়ে রোজই পূজা করি। ঈশ্বরের পূজার্চনা করি। ঈশ্বরকে স্বরন করি। একএক জনের সেই পূজার্চনার পদ্ধতিটা ভিন্ন থাকে। মন্দিরের পূজারী মন্দিরে ভক্তদের নিয়ে পূজার্চনায় ব্যস্ত থাকে। দোকানদারেরা নিজের দোকান এর উন্নতির জন্য পূজার্চনা করেন। বাড়ির গৃহিনীরা বাড়ির মানুষের সুস্থতা, উন্নতি, ইত্যাদির জন্য পূজার্চনা করেন।। 


সবাই ভালো কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে পূজার্চনা করেন। কিন্তু এই পূজার্চনা কি আমাদের জীবনের সেই সব আশা পূরণ করে ? যেই পরমাত্মা ঈশ্বরের নিকট আমাদের এই অর্চনা চলতে থাকে সেই ঈশ্বর কি আমাদের সব আশা পূরণ করে  দেন? নাদেননা। যখন পূজার্চনার হীতে বিপরীত হয়, তখন আমরা এই পূজার্চনাকে ব্যার্থ মানি। তখন আমরা কেনই বা ভুলে যাই, যেই সুখ দুঃখের বেড়াজালে ঈশ্বর স্বয়ং আবদ্ধ হয়েছেন। সেই বেড়াজাল থেকে আমরা সাধারণ মানুষ কীভাবে বেঁচে যাব? 

পাপ পূণ্য নিয়েই তো সংগ্রাম আমাদের। লড়াই ছাড়া গতি নেই আমাদের। যার লড়াইয়ে নিষ্ঠা থাকবে সেই এই লড়াইয়ে সামান্য হলেও সফল হবে। তাই সেই পূজার্চনা হোক আত্ম শক্তি বাড়ানোর। সংগ্রাম করার শক্তির আহ্বান সেই পরমাত্মার কাছে।

                                                 

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...