লন্ঠন
চৈত্রের কালবৈশাখী ঝড়,
ঘরে ইলেকট্রিক আলো নেই।
তাকের উপর জ্বালিয়ে রাখা শেষ মোমবাতিটাও
তার আলো নিভিয়ে দিতেই
সঙ্গী হল, সেই পুরনো ধুলোমাখা লন্ঠন।
যার সাথে ছেলেবেলার নানান স্মৃতি বিজড়িত।
ধুলো ঝেড়ে তেলসহ জ্বালাতেই
সেই পুরনো শীতল আভায়
ঘরের চৌকোন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।
তুমি হারিকেন লন্ঠন।
বিপদের দিনে প্রকৃত বন্ধুর মতো বরাবরই হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছো।
আজকাল
লোকে বড়ই হেলা করে তোমায়,
ঘরের কোণে ঐ বাজে জায়গাটায়
তোমাকে ঠাঁই দেয়।
বিদ্যুৎ ইনভার্টার এর যুগ বলে কথা,
এখন আর তোমার চর্চায় কি লাভ!
স্বার্থান্বেষী সবাই আজ ব্যস্ত নিজের সুখে।
ভুলে গেছি তাই পূর্বের ইতিকথা।
তবুও তোমার ব্যথাহীন হৃদয় আলো দিয়ে যাচ্ছে
যুগ-যুগান্তরে।
যে আলোয় বইয়ের পাতা খুলে
স্বপ্ন দেখেছিলাম বড় হবার,
সে আলোয় আজও খুঁজে বেড়াই
একমুঠো নিঃস্বার্থ সুখ।।
No comments:
Post a Comment