শৈত্য সকাল
ঋতুকন্যার উদর হতে আর্বিভূত সূর্য গবাক্ষ পেরিয়ে প্রকোষ্ঠে প্রবেশ;
হিমেল হাওয়ায় বয়ে আসা ধবল শিউলির বিহ্বল ঘ্রাণ।
এইসবের কাছে নকশী কাঁথার উষ্ণ ভালোবাসা যেন তুচ্ছ ।
কুয়াশাচ্ছন্ন মেঠো পথে অকৃত্রিম পৃথিবীর খুঁজে ছুটে যায় সেই শিউলি তলায় ।
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা পলকবিহীন চোখে খেলা করে বসুন্ধরার অপরূপ দৃষ্টিনন্দন মাহাত্ম্য ।
স্বর্ণালী রোদে মাখা শিশিরকণা ঘুমিয়ে আছে চিরসবুজ তৃণের বুকে।
এই শিশির আয়নায় আমি নিজের হর্ষ মুখখানা দেখি;
কখনো শীতল ছোঁয়ায় ক্ষুধায় অস্থির থাকি।
ভেজা কুয়াশার গন্ধ জড়ানো শীতের রিক্ত মাঠে চাষি চাষাবাদে ব্যস্ত আপন ধারায়;
কেউবা কাষ্ঠবহ্নি জ্বেলে তাপ সেবন করছে।
কোথাও আবার পল্লবরাশি কুয়াশার চাদরে মোড়েছে নিজেকে।
অজ্ঞাত আগন্তক পাখির কলরবে সরব চারিদিক।
এহেন চিত্ততাড়া প্রকৃতির আয়োজনে পারিজাত পাখির মতো ডানা ঝাঁপটে উড়ে যেতে চায় উৎপলা রোদে।
কবি পরিচিতিঃ-
---------------------------
মোঃ রুবেল ত্রিপুরার তরুণ প্রজন্মের লেখক। পিতা মোঃ দুলাল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্সে গ্রেজুয়েশন শেষ করে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সে পাঠরত। রুবেলের লেখা মূল্যত মনন স্রোতের পাতায়ই প্রথম প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী সংখ্যায়ও রুবেলের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment