কবি অরিজিৎ মজুমদারের জোড়া কবিতা;
১.
গাছের মায়া
....................
বিশাল এক হাট বাজার
যেটি ছিল গ্রামের মনি, 
তারই মাঝে চির প্রহরী
অশ্বত্থ গাছ খানি। 
সুখ দুঃখের সে সঙ্গী সাথী
বিশাল ছায়ার আধার, 
শান্ত হাওয়ায় শান্ত করে
ভরায় মনের দুয়ার। 
হাটের দিনে সব্জিওয়ালা
তারই নিচে বসে, 
সকল পসরা বেচার পর 
টাকার হিসেব কষে। 
২৫শে বৈশাখে তারই নিচে
হয়,কবিগুরুর আহ্বান, 
ভোটের আগে সেই হলো
সব মিটিং মিছিলের স্থান। 
পূর্ণ করে সকল চাওয়া
গ্রামবাসী যা চায়, 
ওর ছায়াতে শুয়েই মানুষ
স্বপ্নসুখে হারায়। 
একদিন গ্রামে হঠাৎ এলো
সরকারি পরোয়ানা
কাঁচা রাস্তা পাকা হবে
তাতে নেই কারো মানা। 
রাস্তা মেপে দেখা গেল
সড়ক নকশা ধরে, 
রাস্তার ঠিক মধ্যিখানে
অশ্বত্থ গাছ পড়ে। 
গ্রামবাসীরা দোটানায়
এবার হবে কি? 
অশ্বত্থ গাছ কাটা হবে
নাকি সড়ক থাকবে বাকি। 
হঠাৎ কিছু মানুষ বলল
গাছই কাটা হোক, 
তার কারণে বাড়ছে এখন
বন-বাদাড় আর ঝোপ। 
গাছ কাটার বড় যন্ত্র এল
এল অনেক কাঠুরে
টুকরো করে কাটা হবে
সমূলে উপরে। 
কাটার কাজ শুরু হল
কোপ পড়লো গাছে, 
একবারো কেউ ভাবলোনা হায়
গাছেরও যে প্রাণ আছে। 
নিজের ভেতর কাঁদতে থাকে
গাছের অন্তকায়া, 
এই তাহলে গ্রামবাসীদের
আমার প্রতি মায়া। 
২.
করোনার করুণা
চারিদিকে আজ হাহাকারসাইরেন দিনে রাতে,কিন্তু সে যুদ্ধে আজসব দেশ একসাথে।যুদ্ধটা নয় মানুষে মানুষেবিপক্ষ এক ভাইরাস,আজ মনে হয় সৃষ্টিকর্তানিজের সৃষ্টিতেই নিরাশ।দেবদূত আজ সকল ডাক্তারমন্দির হাসপাতাল,,সকলে আজ ভাই ভাই সেভদ্র হোক আর মাতাল।তাই আজ বুঝিনা আমিকি এই করোনা,ঈশ্বরের কোনো অভিশাপনাকি তার করুণা।কিন্তু এই করুনাতেবলি যে শত শত,দয়াময় তুমি নাও একেকষ্ট দেবে আর কত।।
No comments:
Post a Comment