Friday, April 29, 2022

অরিজিৎ মজুমদার

কবি অরিজিৎ মজুমদারের জোড়া কবিতা;

১.
গাছের মায়া
....................

বিশাল এক হাট বাজার
যেটি ছিল গ্রামের মনি, 
তারই মাঝে চির প্রহরী
অশ্বত্থ গাছ খানি। 
সুখ দুঃখের সে সঙ্গী সাথী
বিশাল ছায়ার আধার, 
শান্ত হাওয়ায় শান্ত করে
ভরায় মনের দুয়ার। 
হাটের দিনে সব্জিওয়ালা
তারই নিচে বসে, 
সকল পসরা বেচার পর 
টাকার হিসেব কষে। 
২৫শে বৈশাখে তারই নিচে
হয়,কবিগুরুর আহ্বান, 
ভোটের আগে সেই হলো
সব মিটিং মিছিলের স্থান। 
পূর্ণ করে সকল চাওয়া
গ্রামবাসী যা চায়, 
ওর ছায়াতে শুয়েই মানুষ
স্বপ্নসুখে হারায়। 

একদিন গ্রামে হঠাৎ এলো
সরকারি পরোয়ানা
কাঁচা রাস্তা পাকা হবে
তাতে নেই কারো মানা। 
রাস্তা মেপে দেখা গেল
সড়ক নকশা ধরে, 
রাস্তার ঠিক মধ্যিখানে
অশ্বত্থ গাছ পড়ে। 
গ্রামবাসীরা দোটানায়
এবার হবে কি? 
অশ্বত্থ গাছ কাটা হবে
নাকি সড়ক থাকবে বাকি। 
হঠাৎ কিছু মানুষ বলল
গাছই কাটা হোক, 
তার কারণে বাড়ছে এখন
বন-বাদাড় আর ঝোপ। 
গাছ কাটার বড় যন্ত্র এল
এল অনেক কাঠুরে
টুকরো করে কাটা হবে
সমূলে উপরে। 
কাটার কাজ শুরু হল
কোপ পড়লো গাছে, 
একবারো কেউ ভাবলোনা হায়
গাছেরও যে প্রাণ আছে। 
নিজের ভেতর কাঁদতে থাকে
গাছের অন্তকায়া, 
এই তাহলে গ্রামবাসীদের
আমার প্রতি মায়া। 


২.
করোনার করুণা
চারিদিকে আজ হাহাকার
সাইরেন দিনে রাতে, 
কিন্তু সে যুদ্ধে আজ
সব দেশ একসাথে। 

যুদ্ধটা নয় মানুষে মানুষে
বিপক্ষ এক ভাইরাস, 
আজ মনে হয় সৃষ্টিকর্তা
নিজের সৃষ্টিতেই নিরাশ। 

দেবদূত আজ সকল ডাক্তার
মন্দির হাসপাতাল,, 
সকলে আজ ভাই ভাই সে 
ভদ্র হোক আর মাতাল। 

তাই আজ বুঝিনা আমি
কি এই করোনা, 
ঈশ্বরের কোনো অভিশাপ
নাকি তার করুণা। 

কিন্তু  এই করুনাতে 
বলি যে শত শত, 
দয়াময় তুমি নাও একে
কষ্ট দেবে আর কত।। 

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...