Saturday, March 28, 2020

পুজা মজুমদার

আগুন লাগা ফাগুন


স্নিগ্ধ বাতায়নে বইছে আগুন, 
কোকিলের কণ্ঠে এসেছে ফাগুন। 
পত্র পল্লবে ফুটছে ফুল ভরে গেছে কানন
মধু আহরণে ভ্রমরের গুঞ্জন গুনগুন গান।
রঙিন নেশায় রাঙা প্রভাত পলাশ শিমুল,
ভোরের দোয়েল শিশ দিয়ে করছে ব্যাকুল।

ঐ দূর গায়ের সবুজ মাঠে সুবোধ বালক,
আপন মনে ফাল্গুনী হাওয়া গায়ে মাখে সুখ।

রাখালের বাশিতে আজ ভালোলাগা সুর,
প্রিয়তমা সেই সুরে দূর গায়ে আনন্দিত বিভোর।

প্রজাপতি পাখা মেলে নিত্যনতুন কারুকার্য 
ভ্রমরের গুঞ্জন গান তুমি নেই আমি ধরি ধৈর্য।

ফাল্গুনী আগমনী মিটিং নদীতট তালবনে পাখির,
শিমুল, পলাশবনে সৌন্দর্য ছড়িয়ে উচ্চ করে শির।

বাতাসে দুলে দুলে তাল পাতা -
আনন্দ জানান,
বেপরোয়া রৌদ্রতেজ অভিযোগ গুটিয়ে মেঘের নেই অভিমান।

সাঁওতালি যোবার ভেঁপু বাজেনা  আর মনে দ্বারে
রমণীর খোঁপায় পড়া ফুল শুকিয়ে গেছে ঝরে।

দক্ষিণা পবনে বইছে ঝিরিঝিরি মাতাল হাওয়া
বেপরোয়া অভিমান প্রিয়তার আঁচলে ছাওয়া।

অনুভূতিরা হাওয়া দুলছে কত ভালবাসা প্রিয়জন,
এই শহরের বসন্ত নামে দেখি কত অপ্রিয় আয়োজন।

সেই যে সেবার হারিয়ে গেলে শহরে ঝুলছে কত বিজ্ঞাপন, 
নিখোঁজ বিজ্ঞাপনে আমিও একদিন  হবো তোমার প্রয়োজন।

তুমি নেই বসন্তও নেই
বিষাদের ফাগুন ভাজচ্ছি খই,
বাহিরে মাতাল হাওয়া ভিতরে আগুন
তুমিহীন বুকের ভিতরে ফুড়ুৎ চড়ুই হচ্ছে খুন।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...