একটি দীর্ঘশ্বাস
চঞ্চলতা ছেড়ে তিনটে রাত আমি নীরবে ভেবেছি শুধু। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, কুকুরের চিৎকার, আগুনের ধোঁয়া আমায় দেশভাগের কথা মনে করিয়ে দেয় বারংবার। প্রচন্ড মনখারাপির রাতে অন্ধকারকে জড়িয়ে ধরে না দেখেও কেঁদে গেছি, শুধুমাত্র শান্তির জন্য । আমার মনে হয় প্রেমিক মানুষের মনখারাপির একমাত্র ঔষধ কান্না। কান্নার কোনো বিকল্প নাই। আমার প্রস্তাবে মনের জন্য কেঁদে ফেলাই উত্তম।
আমার এত কান্না, তবুও আমার প্রেমিকা আমায় বুঝবে না;আমি জানি। আমার প্রেমিকা কবে যে কঠোর ছিল ভুলে গেছি। আজকাল তিনি ভীষণ ক্ষেপে গেছেন। ক্ষেপে যাবেন না কেন? এই সময় অবশ্যই ক্ষেপে যাওয়ার। বাতাসে শান্তি নেই, শ্বাসে রাজনীতি নেই, জলে জীবন নেই, মাটির বুকে পায়ের পদচিহ্ন ছাড়া কিচ্ছু নেই। এসব চিন্তায় আমার ঘুম নেই, স্বভাবতই প্রেমিকার জন্য সময় নেই।
আপাতত এখন শীতকাল। বাইরে ঘরে চারিদিকে ঠান্ডা। ঠান্ডার দিনে কাশি আমায় পছন্দ করে। আমি তবুও ঠান্ডা জল খাই। বাবা প্রতিদিন বলেন গরমজল করে খা। আমি শুধু মাথাটা নিয়েই হ্যাঁ বলি । বাবার কথা শুনলাম কই! আমার মনে হয় আমি একটা অবাধ্য ছেলে। অবাধ্যতার কথা আমার প্রেমিকাও জানে। তবুও এতদিন আমি তাকে এত কঠোর হয়ে যেতে দেখিনি।আমার বুকের ভেতর পাথর থাকলেও কঠোরতা নেই। আমার প্রেমিকার বুকে আপাতত কঠোরতা আছে। সম্ভবত আমায় সে আর ভালোবাসবে না।
প্রিয় কবিতা,
আমায় তুমি ক্ষমা করে দিও। আমি তোমার জন্য কিচ্ছু লিখে যেতে পারলাম না।
No comments:
Post a Comment