Saturday, March 28, 2020
আবেদন
সম্পাদকীয়
শৌভিক বাগচী
অভীককুমার দে
সুধীর দাস
বিশ্বব্যাপী আজ হল কী?
সুখের বদলে দুখের বাতাস বইছে আনাছে কানাছে
বৃদ্ধ কিংবা শিশু, যুবক কিংবা যুবতী, পুরুষ কিংবা নারী
অথবা রাস্তাঘাটের নিদ্রাহীন অনাহারী।
আতঙ্কিত জর্জরিত ভয়ে ভয়ে চালিত হৃদয় যেন কম্পিত।
করুনা নামক মারনব্যাধী ভাইরাসে।
বিশ্বের দরবারে যারা শক্তিশালী মারনব্যাধী অস্রসশ্রে পরিপূন্য
তারাও যেন আজ ভয়ে কম্পিত।
চীন নামক দেশটিও আজ চাইছে মুক্তি সকলের তরে।
অনুপম দেব
ভাবছি কি লিখবো
মেঘলা দিনে আমি আনমনা
এই মনে শুধু তোমার আনাগোনা,
ভাবছি তোমায় নিয়ে ভাববো
নাকি একটি কবিতা লিখবো?
মেঘলা আকাশে নেই আজ তারাদের মেলা
চন্দ্রালোতে ভাসতে চায় হৃদয় ভেলা,
ভাবছি স্বপ্নে ওই আকাশে তোমার ছবি আঁকবো
নাকি একটি কবিতা লিখবো.
আচ্ছা একটা কবিতাই লিখবো
ছন্দে ছন্দে ডাইরির পাতার শূন্যতা পূর্ণ করবো,
কলমটা হাতে নিয়ে লিখতে বসলাম
কিন্তু বুঝতে পারছিনা কি লিখবো.
আরে আমিতো কবি না
তবে কবিতা কিভাবে লিখবো,
সবাই কত সুন্দর করে কবিতা লিখে
আমি না হয় তোমায় নিয়েই লিখবো!
সঞ্জয় দত্ত
পিনাকী ভৌমিক
যমুনা মজুমদার
অজয় মিত্র
বেকারত্ব
বেকারত্ব নয় কোনো শব্দ
এটা একটা শব্দ
নিজের সাথে নিজের আর সমগ্র বিশ্বের
বেকারত্ব নয় কোনো যন্ত্র
এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র
তোমাকে সমাজে মূল্যহীন করার
বেকারত্বে নেই কোনো শান্তি
আছে খালি অশান্তি
যা তোমাকে বাধ্য করবে ভুল ভ্রান্তি
বেকারত্বে নেই কোনো আশা
পাবে খালি নিরাশা
সমাজ দিবে শুধু প্রতাশা
মোঃ রুবেল
নিপু দাস
পায়েল দেবনাথ
সুজন দেবনাথ
আগরতলা হাঁপানিয়ায় বইমেলাতে চল
বন্ধু বান্ধব নিয়ে যখন বই মেলাতে যাই
নানান রঙের বই দেখে ভীষণ মজা পাই
সারি সারি বইয়ের দোকান কত রকম বই
চারিদিকে কত মানুষ আর কত হই-চই
একের পর এক স্টলে যখন আমি যাই
বহু লেখকের ভালো ভালো বই দেখতে পাই
এরই মাঝে অনেক বই হয়ে যায় কেনা
সেই সাথে হয়ে যায় নতুন লেখক চেনা
নানান রঙের নানান বই সবার হাতে হাতে
পাঠকের যেন আত্মার সম্পর্ক বই মেলার সাথে
ইচ্ছে করে রোজই যেতে বই মেলাতে ভাই
জ্ঞানের মেলা বই মেলা এর তুলনা নাই
কত পাঠক অপেক্ষায় থাকে বই মেলার জন্য
বই মেলাতে এসে সবাই হয় যে অনেক ধন্য
মেলা আসে কিছুদিন পর আবার চলে যায়
মেলার স্মৃতি জড়িয়ে থাকে,বই গুলোর আঙিনায়
যে মেলার জন্য সবাই থাকতো অপেক্ষায়
মেলা শেষে করুণ মনে আবার থাকে প্রতিক্ষায়।
অনুপম রায়
তুলনা
এই আকাশে সূর্য চোখ নামিয়ে কথা বলে;
নিদারুণ কষ্টে
বুকের ব্যাথায় চোখ জ্বলে।
ঐ আকাশে হয়তো হবে তোমার আমার দেখা,
যেখানে আলো সাজিয়ে দেবে জীবন রেখা।
শহরের বোনা রাস্তায়,
ল্যাম্পপোস্টের বাতি জ্বালায়;
ঐ শহরেই মুচকি হেসে
হাতটি তুমি ধরবে একা।
এই শহরে প্রেমের গন্ধ এখন আসেনা,
মাথার চুলের শ্যাম্পুর গন্ধ বাতাসে আর ভাসেনা;
নিয়তি এখন মুখ বাঁকিয়ে
আবেগ দেয়না আর কপালে;
প্রেমে এখন লাশের গন্ধ
আসল প্রেমিক মিলেনা!
জয়ন্ত শীল
প্রীতম ভৌমিক
সুব্রত দেববর্মা
অনির্বান রায় গুপ্ত
প্রীতম শীল
উৎপল দেবনাথ
কৌশিক পাটারী
দেশে যখন দ্বেষ ছড়ায়,
খিদে পায় শকুনের ও।
বায়না ধরে পিতার নিকট
খাবে সে মনুষ্য মাংস।
এনে দেয় পিতা,
গরু কিংবা শূকরের মাংস।
হবে না এতে শকুন পুত্রের,
খাবে যে সে মনুষ্য মাংস।
পুত্রের ক্ষুদা মেঠাতে পিতা,
বিচলিত হলো।
গরু ও শূকরের মাংস নিয়ে,
মন্দির ও মসজিদে রাখলো।
শকুনের এই, হেন কান্ডে
ধর্ম যুদ্ধ বাঁধে।
হাজারো লাশ পড়ে মানুষের,
মন্দির ও মসজিদে।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব,
মানুষই বটে।
কূটনীতি ও শিখেছে শকুন,
মানুষের নিকটে।
যুদ্ধের ডংকা বাজিয়ে শকুন,
আকাশে উড়ে বেড়ায়।
লাশের গন্ধ পেলে শকুন,
পুত্র সনে, মনুষ্য মাংস খায়।
পুজা মজুমদার
আগুন লাগা ফাগুন
স্নিগ্ধ বাতায়নে বইছে আগুন,
কোকিলের কণ্ঠে এসেছে ফাগুন।
পত্র পল্লবে ফুটছে ফুল ভরে গেছে কানন
মধু আহরণে ভ্রমরের গুঞ্জন গুনগুন গান।
রঙিন নেশায় রাঙা প্রভাত পলাশ শিমুল,
ভোরের দোয়েল শিশ দিয়ে করছে ব্যাকুল।
ঐ দূর গায়ের সবুজ মাঠে সুবোধ বালক,
আপন মনে ফাল্গুনী হাওয়া গায়ে মাখে সুখ।
রাখালের বাশিতে আজ ভালোলাগা সুর,
প্রিয়তমা সেই সুরে দূর গায়ে আনন্দিত বিভোর।
প্রজাপতি পাখা মেলে নিত্যনতুন কারুকার্য
ভ্রমরের গুঞ্জন গান তুমি নেই আমি ধরি ধৈর্য।
ফাল্গুনী আগমনী মিটিং নদীতট তালবনে পাখির,
শিমুল, পলাশবনে সৌন্দর্য ছড়িয়ে উচ্চ করে শির।
বাতাসে দুলে দুলে তাল পাতা -
আনন্দ জানান,
বেপরোয়া রৌদ্রতেজ অভিযোগ গুটিয়ে মেঘের নেই অভিমান।
সাঁওতালি যোবার ভেঁপু বাজেনা আর মনে দ্বারে
রমণীর খোঁপায় পড়া ফুল শুকিয়ে গেছে ঝরে।
দক্ষিণা পবনে বইছে ঝিরিঝিরি মাতাল হাওয়া
বেপরোয়া অভিমান প্রিয়তার আঁচলে ছাওয়া।
অনুভূতিরা হাওয়া দুলছে কত ভালবাসা প্রিয়জন,
এই শহরের বসন্ত নামে দেখি কত অপ্রিয় আয়োজন।
সেই যে সেবার হারিয়ে গেলে শহরে ঝুলছে কত বিজ্ঞাপন,
নিখোঁজ বিজ্ঞাপনে আমিও একদিন হবো তোমার প্রয়োজন।
তুমি নেই বসন্তও নেই
বিষাদের ফাগুন ভাজচ্ছি খই,
বাহিরে মাতাল হাওয়া ভিতরে আগুন
তুমিহীন বুকের ভিতরে ফুড়ুৎ চড়ুই হচ্ছে খুন।
সজীব পাল
একটা পুরুষ তার প্রিয়তমার দেহ ও মনের মাঝে সমস্ত সুখ খুঁজে পায় কিংবা একটা সন্তান দীর্ঘ বছর নিখোঁজ হওয়ার পর যখন অকস্মাত্ ফিরে আসে তখন 'মা'য়ের অনুভূতির মাঝে যে একটা সুপ্ত ভালোবাসা ফুটে ওঠে সন্তানের আগমনে অথবা একটা ছেলের মুখে মাকে পাওয়ার যে সন্তোষের ছবি ,আমি সেই সুখ খোঁজে পাই গ্রামের চেনা বৃক্ষের পাতায় পাতায় ।
কেন জানি বসন্ত বিকালে সবুজ প্রান্তরে বসলে, মনে নতুন শক্তি ,প্রবল উদ্দীপনা এবং ফুরফুরে বাতাসে নিজেকে মিশিয়ে এক জীবন্ত প্রাণ বলে অনুভব হয় ।
কি আছে গ্রামের পথ-ঘাট, নদী ,খেত ও মাটির মানুষের মাঝে? কেন তার এত মায়া! এমন নিবিড় মায়া বুকের বাপাশটায় স্পর্শ করে যায় যে তার কোনো বিকল্প হয় না ।
আমি ত সেই জীবনানন্দ যুগের আকাশ ও সবুজ শ্যামল রূপ দেখি নাই ! আমি দেখেছি একবিংশ শতাব্দীতে রোদের অনলে পোড়া ঘাসের মাঠ ,আমি দেখেছি জানলা দিয়ে, অশোকদের পুবের উঠানে বসানো বিদ্যুতের আলোয় রাতের অর্ধ কিবা পূর্ণ চাঁদ ।আমি শুনেছি বৃষ্টিতে মা তার আট বছরের সন্তানকে বলতে ," সোনা বৃষ্টিতে ভিজতে নেই ,অসুখ পড়বে ।"
এই যে এত তুমুল পরিবর্তন গ্রাম,তবুও যেন মায়া এবং মাটির গন্ধ আজও লেগে আছে ।
আজও ঋতু পরিবর্তন হলে বুঝি,বসন্তের কোকিল আজও সুভাষ দার রান্নার ঘরের পেছনের সেই আম গাছের ডালে বসে বলে যায়,"দেখো আমি বসন্ত নিয়ে এসেছি ।"
ঘরের বারান্দায় পান চিবুতে চিবুতে ঠাকুরমার সেই রাজারানির কেচ্ছা আওড়াতে শুনি ।আজো তার মুখে সেই সরল সহজ বাংলার মানুষের জীবনকথা শুনি । এমনকি ক্ষীণ হলেও মানুষ আজও অন্যের দুখ কিবা সুখের ডাকে সামিল হয় ।
তাই আমিও আজ জীবনানন্দের মতো বলতে চাই ,"আমি বাংলার মুখ দেখিয়াছি, তাই পৃথিবী রূপ আর খুঁজিতে চাই না ।"
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...