Sunday, January 26, 2020
সম্পাকীয়
চন্দন পাল
চৈতন্য ফকির
অপাংশু দেবনাথ
পূজা মজুমদার
হারিয়ে গেছে সোনার অতীত
আমার কৃষক হারিয়ে গেছে - হারিয়ে গেছে কৃষি বাউল আমার হারিয়ে গেছে - হারিয়ে গেছে ঋষি ।
হাজার যন্ত্রে ঠাসা পৃথিবী - হাজার যন্ত্র মানব
হাতে পায়ে মানুষ মতোই - অন্তরেতে দানব ।
আমার নদী হারিয়ে গেছে - রয়ে গেছে কূল
হারা নদীর বাঁকে বাঁকে খুঁজি তোমার দুল ।
আমার বৃক্ষ হারিয়ে এখন সাজানো কাঠের গুড়ি
ইমারতের শীর্ষে বসে তোমরা বাজাও তুড়ি।
আমার সকাল হারিয়ে এখন হারায় অলস বিকাল
এই সে একাল চাইনি আমি হারিয়েছি সেকাল ।
ফেরিওয়ালার হাকের দুপুর হারিয়ে গেছে সাঝে
কাক ডাকা ভোর - সোনার নুপুর - অজানারই মাঝে।
আমার গ্রামটি হারিয়ে গেছে - শহরের পর শহর
কাদামাটির পথটি কাঁদে অট্টালিকার বহর।
আমার কলম হারিয়ে গেছে - মনে হাজার আঁকিবুকি
শূন্য খাতা শূন্য পাতা - তাই পদ্য দেয়না উঁকি।
সোনার অতীত হারিয়ে আমি বর্তমানের একা
কাব্য আমার তাইতো এখন অশ্রু দিয়ে লেখা।
সৈকত সরকার
রাতপরী
কবির কলমে আমি রাতপরী,পুলিশের খাতায় দেহ ব্যবসায়ী।
সংবাদ শিরোনামে মক্ষিকা রানী,
যদিও সব একই কথা তবে বেশ্যাটাই চিরস্থায়ী।।
তোমরা রাজভোগ আমি নর্দমা
আমি গতর খাটাই
তোমার সাদা জামা, বলছো 'ব্যবসা কেনো করো ?'
বাবু
তোমরাইতো খদ্দের!
পেট বলেছে বাঁচতে হলে খদ্দের তুমি ধরো!!
সকালের সাদা যখন রাতপরীর চোখের কাজলে কালো হয়ে যায়, তোমার সমস্ত উত্তাপ আমার তলপেটে স্থান পায়।
তারপর
তোমরা আবার রাজভোগ আমি আবার নর্দমা ।
উর্মি সাহা
যুবকের প্রতি
এই সমাজ বড্ড বিষাক্ত,,
সমাজ আজ সত্যি বিষণ্ণ;
বাকহীন হয়ে আছে সমাজ প্রতিনিধি,
আর অলস হয়ে মরছে যুবক শ্রেণী।
চার দেওয়াল জুড়ে আঁকছে কতশত ফন্দি,
বর্তমান পৃথিবীটা ছোটো হয়ে----
সেই ছোট্ট বোকাবাক্সতেই বন্দি।।
যুব সম্প্রদায় ভুলেছে,নিজের দায়বদ্ধতা;
ভুলেছে বিবেকানন্দের পথপ্রদর্শিত কথা।
স্মার্ট ইন্ডিয়াতে হাতে উঠে না 'কর্মযোগ',,,
ইতিহাস হয়েছে যেন স্বামীজির 'রাজযোগ'।
শ্লোক ওঠে না আর বীর সন্ন্যাসীর,,,
চেঁচিয়ে আর বলে না কেউ----
''ওঠো,জাগো,লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত
••••••••••••••••••থেমো না।"
যুবাদলেরকানে পৌঁছায় না জনগোষ্ঠীর বিলাপ--
ভিড় করে শুধু নম্বরলেস শবের সমাহার।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড,ডিজিটাল সোসাইটি----,,
অথচ,আজও পিছিয়ে উৎকৃষ্ট যুবক শ্রেণী।
রঙিন পোশাকেই লুকায়িত নর-নারী----
বুকের পাঁজর চিরে রক্ত ঝরায় নিপীড়িত গোষ্ঠী;;
যুবাদল ভুলেছে নিজস্ব কর্ম-
বৈষম্য করেছে ধর্ম আর বর্ণ।
এখন ওঠো,জাগো----নতুন সূর্যের সাথে---
সমাপ্ত হোক এই অভিশপ্ত রাত,,
আর চেঁচিয়ে,নব উন্মাদনায় বলো--
এবার শুনবে নবযুবাদের ডাক।
বিপ্লব দে
জয় দেবনাথ
সুজন দেবনাথ
দিনের আলোয় মুখোশ পইরা
ভালোপাইছিল যারা
একদিন মুখোশ খুইল্যা হৃদয় ভাইঙ্গা
চইল্যা গেছে তারা
বয়স আমার অল্প আছিল
তাই ঠকছি আমি প্রচুর
অখনে মানুষের চাইতে দাম বেশি ভাই
বন জঙ্গলের কচুর
সবই আছিল তাদের অভিনয়
জানছি আমি যেদিন
হৃদয় আমার ভাইঙ্গা চুইরা
এডাল্ট হইলাম সেদিন।
অনুপম দেব
ওগো বিদ্যাদেবী
প্রফুল্লিত মন নিয়েll
দেবী পঞ্চমী তুমি বাগেশ্বরী
হে মাতা তোমায় প্রার্থনা করি,,
দাও আমাদের শুভমতি
করো জ্ঞানী-গুণী অতি,,
জ্ঞানময়ী তোমার চরণ ধরি
মাতা তুমিই ভারতী
জ্ঞানসাগর বিদ্যাদেবী
অভীককুমার দে
বিনয় শীল
দিপ্সী দে
উৎপল দেবনাথ
অনির্বান রায় গুপ্ত
সংগীতা দেব
সামিন শুভ
সজীব পাল
কয়েকজন বন্ধু মিলে আমরা পিকনিকে যাই । তখন আমার বয়স সতেরো কি আঠারো।আমি এত ভ্রমনপিপাসু নয়।,বন্ধুদের চাপে পড়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধেও কখনো কখনো অনেক কিছুই করতে হয়।আমিও তা করলাম
বাড়ি থেকে মোরগ কেটেকুটে এনেছি ,এখানে শুধু রান্না করবো ।অজয় রান্না বসিয়েছে আমরা কয়জন তেল মশলা এগিয়ে দিচ্ছি ।সে খুব ভালো রান্না করে ।রায়ানকে পাঠিয়েছি শুকনা ডালপালা আনতে । আমরা সাতজন স্বল্প কাজেই আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছি ।
ঘন্টাখানেক বাদে রান্নাশেষে সবাই মিলে ভাঁজা মাংস অর্ধেক খেয়ে বাকিটা ও ভাত সহ গাড়িতে রেখে আমরা ঘুরতে বের হই।
এই কোনো পার্ক বা চিড়িয়াখানা কোনোটাই নয়।অভয়ারণ্যের মতো দেখতে হলেও ঘন অরণ্যাবৃত নয়,লঘু জঙ্গল ।এইটা পিকনিকের জন্য গতবছর আবিষ্কার হয়েছে ।নতুন হিসেবে ট্যুরিস্টদের দারুন ভির হয় । আমরা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এসেছি ,কাজেই এখন তেমন লোক নেই। বড়ো বড়ো কিছু চেনা গাছ যেমন শাল,সেগুন,মেহগনি , ইত্যাদি তবে যেই গাছটার জন্য মন কাড়ে তা হলো কাজু-বাদাম গাছ।ডালা গুলি নিচু হয়ে নানারকম ভাবে বেঁকে আছে।
আমি আর নীল একদিকে ,বাকিরা অন্যদিকে ।
"আচ্ছা নীল গাছগুলো দেখে তোর কিছু ভাবতে ইচ্ছে করে?"
"হুম করে "
"কি ইচ্ছে করে?"
"ইচ্ছে করে দুইটা কাজু নিয়ে তোর মাথায় ঠাস করে ছুঁড়ে দিই। এখানে এসেছি চিন্তাভাবনা শূন্য হয়ে একটু হালকা মনে গভীর আনন্দ উপভোগ করতে, আর তুই বলছিস গাছ দেখে ভাবতাম !"
"এখন তো কাজু নেই ,তুই আমাকে ডাল ভেঙে ছুঁড়ে মার"
বকবক না করে দেখ কত মেয়ে,ইস একটারে যদি পেতাম,,,
নীলের সাথে আর কথা বলিনি ।ও আমার কথা পাত্তা দেয় না । তাছাড়া সে এখন মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল কথা বলবে।মেয়েদের সে এক্কেবারে কথায় কথায় ব্যাডরুম পর্যন্ত নিয়ে যায়, তবুও সে আমার প্রিয় বন্ধু । কেন? সেই উত্তর জানি না । যতই আমাকে নীল উপেক্ষা করে ততই তাকে ভালো লাগে ।হয়তো দীর্ঘদিন একসাথে চলার অভ্যাসে ।আসল গল্পে আসা যাক ।
এখন বেলা দেড়টা ।শীতকালে বেলাছোট, সাড়ে চারটা না বাজতেই সূর্যকে নরম রক্তিম করে তুলে গোধূলি আকাশ। কথা না বলে হাঁটছি ।নীল আছে আপন মনে,,,,গুন গুন করে গান গাইছে ,গানের সুর ধরতে পারলেও কথা ধরতে পারছি না। জায়গাটা অতি নীরব।নীলের গুঞ্জনের সাথে পাখির কিচিরমিচির জবর মিলে গেছে ।নীল আমাকে বলল ,"বিড়ি খাবি?"
" আছে তোর কাছে?"
আমরা প্রায় সময় বাড়ি থেকে দূরে কোথাও গেলে বিড়ি ফুঁকি ।
"এখানে ঢোকার মুখে দেখলাম কয়েকটা টঙ দোকান,ওখানে পাওয়া যেতে পারে। চল ।"
টাকাটা আমাকেই দিতে হলো ,নীলের কাছে নেই ।দোকানদার থেকে কয়েকটা দেশলাই কাঠি চেয়ে নিয়েছি আমাদের মেঝের কাঠি শেষ ।
দোকান থেকে সত্তর আসি মিটার দূরে অনেক লোকের ঠেসাঠেসি ।নীলকে বললাম চল এগিয়ে দেখি এত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে কেন।কোনো দুর্ঘটনা সম্ভব ।নীলও সমোৎসাহে বলল চল ।
যা দেখলাম প্রথমে খুব অস্থির লাগলেও পরক্ষণেই বিষয়টি ধরে ফেলি ।যুগল পাগল ।পুরুষটির বয়স আন্দাজ করলে একত্রিশ কি পঁয়ত্রিশ ।কিন্তু মেয়েটির বয়স অনুমান করা দুর্বোধ্য ।তবে তিরিশের কম। মেয়েটি যথেষ্ট কালো ।নারীরা যতটা কালো হওয়া উচিত নয় ঠিক ততটাই কালো।পুরুষটি রোগাপাতলা,টিকালো নাক , বর্ণ ঈষৎ ফর্সা ।দুজনের অর্ধনগ্ন ।হাঁটুর অনেক উপরে ছেঁড়াতালি হাফ প্যান্ট (আন্ডারওয়ার বলা যেতে পারে) ।মেয়েটির বুক সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ।বর্তুল স্তনদ্বয়,বৃদ্ধের স্তন ন্যায় ঝুলে আছে।
আশে পাশে লোকজন তুমুল কৌতুহল চোখে এই দৃশ্য দেখছে ।পুরুষটি মেয়েটির চঞ্চু কামড়ে ধরছে আর মেয়েটি হাসছে ।এই হাসির অর্থ কি স্পষ্ট বোঝা না গেলেও সে যে এই কাজে অত্যন্ত নন্দিত তা অনুমান করা যায় ।পুরুষটি তার প্রতিটা অঙ্গ, নাভি থেকে শুরু করে সব ছুঁয়ে যাচ্ছে অবলীলায় ।ওই যৌবনবতী নিথর এবং পায়ে উত্তেজনার এক চিকন আভাস।ওদের চতুর্দিক ঘিরে থাকা কাউকেই তোয়াক্কা না করে মিলন খেলা খেলে যাচ্ছে গভীর সুখে ।সবাই তার মজা লুটছে ।হয়তো পাগল বলে ! কিন্তু ওদের পাগল বলতে কণ্ঠে বাঁধে ।পাগলরা কি করে বুঝে নারীদের শরীর জুড়ে পুরুষদের সুখ!তবে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না এখানে কাদের সভ্য বলবো ।আমরা যে এই যুগল মিলন প্রত্যক্ষ করছি আমরা সভ্য!নাকি ওরা যে এই সর্বসমক্ষে নিজেদের দৈহিক চাহিদার তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ওদের বলবো অসভ্য!পৃথিবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে দীর্ঘকাল আদি মানুষ যখন তখন যেখানে সেখানে এই মিলনে মেতে ওঠতো ।এইভাবে মানুষ এক থেকে দুই হয়েছে ।তবুও এতকাল ধরে এই খেলা গোপন ।কেন জানি মনে হয় ওদের এই মিলনের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর ইঙ্গিত দিতে চাইছেন ওরা যা করছে এইটাই পৃথিবীর ভবিষ্যত এবং সত্য ।লোকের আরো ভিড় বাড়ছে ।কেউ কেউ শব্দ করে বলছে, "পাগলার জোর আছে। পাগলি আজ শেষ ।"
নীল আমাকে বলল," সৌম্য চল , এখানে থেকে কাজ নেই ।"
" উঁহু,, তোর না সারাদিন মেয়েদের এই করতে মন চায় ওই করতে মন চায়, এখন কি হলো দেখ!"
" ধ্যাত,,,, ।"
আমরা চলে এলাম লোক অনবরত বেড়েই চলছে ।ওদের খেলাও সাঙ্গ হয় না। যেন যত লোক বাড়ছে ততই ওরা শক্তি পাচ্ছে।
প্রীতম শীল
গৌরাঙ্গ রক্ষিত
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...