একটি বটবৃক্ষের নাম কাহিনী বৃত্তান্ত
কালের গতি কালের প্রবাহ
কোন সূত্রে বাঁধা
যা আজও হয়নি সমাধা
সে রহস্য জাল।
এ যাবৎ পৃথিবীতে
এল গেল কত প্রাণ
কে রাখে তার পরিসংখ্যান
অথবা কি সম্ভব?
যদি বা র'ল এরই মাঝে
আরও সুকঠিন গনন।
অকাল অসময় বিয়োজন
এই কাল অকালের
আছে কি নির্দিষ্ট তত্ত্ব
কিংবা কোন শর্ত।
প্রায়শঃ শোনা যায়
অকালে অসময়ে বিদায়
এ রহস্য আজও অজানা অচেনায়
বলছিলাম যাওয়া
বৃক্ষ সেএ তেমন
কত এল, কত গেল
জানা নেই কারণ
যতই এগিয়ে নগরায়ন
ততই দেখা মিলে খান্ডব দাহন
বারে বারে।
বলছিলাম আমার প্রিয় সাব্রুম চৌমাথার
বটগাছটির লড়াই কাহিনী।
যখন প্রথম চারা
তখন উলঙ্গ উদ্দাম
বড় হওয়ার সাথে
মাঝে মাঝে ডাল পালা
ছেটিয়ে শুরু শাসন
পরে পাকা সিমেন্ট দিয়ে
হলো বাঁধা কটি বন্ধন
কিছুদির পর গুরুত্ব সহকারে
নেতাজীর আবক্ষ স্থাপন।
সাথে লোহার ঘেরাও
ভাবা গেলো এবার হয়তো রক্ষা পাবে
সেই থেকে চৌমাথা হয়ে গেল
নেতাজি চৌমুহনী।
কিন্তু ভাগ্যমন্দ
দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা হল না।
না বৃক্ষের, না নেতাজির
ছেদন সমুৎপাটন হলো আবক্ষমূর্তি
আর সেই বটবৃক্ষের।
আধুনিক মানব শহরোন্নয়নের নামে
বলি দিলো।
২০২২ এর এপ্রিলের মাঝামাঝি
টুকরো টুকরো বটবৃক্ষ পরে আছে পরিত্যাক্ত স্থানে।
আর আবক্ষ নেতাজী হয়তো নিয়েছেন
অন্ধকার কুঠুরের কোন।
এভাবেই চলছে বারে বারে যুগে যুগে
আগ্রাসন নির্ধন।
বৃক্ষের বয়স সেই অকালে অবেলায়
অনুমান মাত্র সাতদশ
যিনি রোপন করেছিলেন উনি ওপাড়
বাংলায় স্থানান্তরিত
শুনেছি হয়েছেন গত।
ছোটবেলায় উনাকে দেখা যেত
বাজার চত্বরে
সে সময় নাম ছিলো করিম চৌমুহনী
কালপ্রবাহে হয়েছে নেতাজি চৌমুহনী
সেও এবার গত।
কি নামে হবে আখ্যায়িত
এত পরিচিত নাম
পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত হতে হতে
হয়তো হবে চৌমুহনী শ্রীরাম
হয়তো বসবে বীর হনুমান।
No comments:
Post a Comment