শেষ গোধুলির চিঠি
এই যে তুমি রোজ রোজ একই পথে হেঁটে যাও,কই কখনোই তো ফিরে আসার কথা ভুলতে দেখিনি তোমায়!
আমি সমস্ত কোলাহল থেকে বেরিয়ে এসে সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে যখন ঘরের চৌকাঠ পার করি, তুমি তখন নিরুদ্দেশ। আমার নিলাম হয়ে যাওয়া শ্বাসবায়ু, দেউলিয়া করে গেছে আমায়। আমি তবুও তোমার ঘর ফেরার অপেক্ষা ভুলিনি। মখমলে বিছানায় যখন শীতল বাতাস বইছে আমি তখন মেঝের এক কোণে গরম নিঃশ্বাসে উষ্ণতা ছড়াই। এভাবেই আমার বসন্ত যায় অথচ আমার বাগান জুড়ে শুকনো পাতার স্তুপে আমি আমার যে সমাধি দেখতে পাই, সেই সমাধির উপর রাখার মতো একটা ফুল সৃষ্টির কাছে দাবি করতে পারিনি।প্রতিদিন নিয়ম করে ডাকপিয়ন আসে কিন্তু আমার নামে একটা খাম আসে না। আমার বুক জানালার ঘর জুড়ে তোমার পাঠানো কুয়াশারা এসে ভীড় করে রোজ কিন্তু শীতের কুয়াশায় তোমার পরশ আসেনি একদিনও।আমার চোখের সামনে অজস্র সমুদ্র স্রোত আমায় আহ্বান করে, হুঙকার দেয় কিন্তু আমি পিছু সরে যাবো বল যেই এক পা পেছনে নিলাম দেখি আমার পেছন থেকে থামিয়ে দেয় হিমালয়।
অতঃপর একদিন গোধূলির পর তুমি আমার চৌকাঠে এসে দাঁড়ালে,আমার ওষ্ঠাগত কোনো রা নেই সেদিন।শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা হাতের তালুতে লেখা;
বিতাড়িত না করেও যে তাড়িয়ে দেওয়া যায় তা তুমি অনুভব করলে আজ,আমি তা এগারো বছর ধরে অনুভব করে আসছি। অভিমান করতে পারো কিন্তু তবুও কাউকে ভালোবাসলে সেই ভালোবাসা ভুলে কখনো দূরে সরে যেও না।
No comments:
Post a Comment