Sunday, July 10, 2022

চন্দন পাল

শ্রাবণী

চল,  ঋতু সবে   খেলি।

ত্যুই  ভিজিয়ে  দিয়ে  যা, 
আমি  জীবন  পুঁতে  যাই। 

তারপর  স্বপ্ন  দেখি  ঘরে ঘরে  তপ্ত  উনুন,
আর  বেগবান  কৃষ্টি । 

ধরণীর  ওমে  জীবন  জেগে  উঠে ।
আমরা  লালন  খেলায়  মাতি।

শরৎ এ  শারদীয়ার  পাট খোলা  সাজের
গন্ধে  মাতোয়ারা  ত্যুইও, 
 খেলার  ছলে,  ঝটকা  দিয়ে  যাস, যেন ওড়না  ছুঁয়ে যায়।

হেমন্তের  হিমেল  হাওয়ায়  নবান্নের  ঘ্রাণ,
পাস কি ?  আয়  পাশে  বোস,  স্বাদ  নেবো।

তারপর  শীত  ঘুম।

তোর  দুধ বরণ  সাদাতুষার  পানে, জেগে উঠে  সুপুষ্ট সুঠাম  যৌবন।

বসন্তে গা  ভাসায়, ধরনীর  সবুজ  সবুজ  সব।
রঙ  উড়ায়  প্রজাপতি,  পলাশ,  শিমূল,  কোকিল।

পল্লবিত  কুঞ্জে- নিকুঞ্জে,  ঋতুমতী হয়  গ্রীষ্ম।

কালবোশেখে  উড়ে  অন্তর  বাহিরের  অবাঞ্ছিত  আবর্জনা।
জীবন  সংঘর্ষের  পাঠ  দিয়ে  যাস্ ।

জীর্ণতা  ফেলে  নতুন  ভাবে  গড়ি। 
ক্ষোভ  ছেড়ে  আয় খেলি,  দিগ্বিদিকে  দাবদাহ। 

 খুলে  ফেল   তোর কৃষ্ণ মুখাবরণী,  
ঝরবি আয় বর্ষায়।
আমি  কলার  ভোরাই  বেঁধেছি,  আয়  ভাসবো।

             

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...