Saturday, December 28, 2019
সম্পাদকীয় প্যানেল
পরিতোষ সরকার
বৃষ্টির ওপারে
সন্ধ্যার কপাল বেয়ে বাইরে
আজ তুমুল বৃষ্টি, গভীর
রাতেও বইছে সমতালে।
আর ভিতরে....
আর ভিতরে বইছে অগোছালো
শয্যার উপর যৌবনের মহাঝড়।
তুমি যখন অর্ধ-অচেতন,
আমার মধ্যে তখন উৎসুকের
প্রবল জ্বালা। হাত দুটি আমার
তোমার বুকে, আর তুমি আঁধার
শয্যায় পরে থাকা কাপড়টুকু
মুষ্টিতে গুঁজে সহ্যের সীমা
পার করেই চলছ।
হয়তো এই ভাবেই প্রতিটি নারী
তার যন্ত্রণা লুকায় বৃষ্টির শব্দে
আর অগোছালো শয্যার কাপড়,
প্রতি রাতে।
সংগীতা দেব
সজীব পাল
জানি তুমি একলা ভীষন,একলা এই শহরে,
একলা থাকা মানুষগুলো দুঃখ গুণে রাতপ্রহরে।
ফুল চিনে না,ফল চিনে না নিয়ন বাতির আলোয়,
গাঁদা ফুলের গন্ধ তোমার চুলের ভেতর খানিকও।
তোমার জন্য ক্লান্ত আমি,ঠোঁটের কোণে ঘা যেমন,
মৃত্যু তো বেশ সরল জানি,তবুও ঠিক ভয় করে কেমন!
নেই ঠিকানা সুখ শহরের,বাড়ছে ব্যথার দাম
ব্যস্ত কেমন মানুষগুলো,কমছে মানুষের মান।
তুমি হেসে উঠলে বলে অবাক বৃক্ষের প্রাণ,
যার ভেতরে দুঃখ নদী,এই কেমন হাসির বান?
মোঃ রুবেল
সুব্রত দেববর্মা
অনির্বান রায় গুপ্ত
উৎপল দেবনাথ
দিপ্সী দে
পৌলমী সাহা
পিযুষ রায়
সুজন দেবনাথ
সৈকত মজুমদার
দেবব্রত চক্রবর্তী
রাবণ সাঁজো
মাতৃজঠরে জন্ম নিয়ে ধুলোয় পুড়াই নারীর চিতা ,
আগুন জ্বলুক রাম রাজ্যে লঙ্কায় ও সুরক্ষিত সীতা।
ধর্মের থান গলায় বেঁধে কি লাভ তোর মূর্খ জনতা,
ধর্ম গুলো অন্ধ রে আজ পুড়ছে দেখ ধর্ষিতা।।
মুক্ত মনে আবেগ ছাড়ো
শক্ত হাতে অস্ত্র ধরো
নিজেকে আজ বাঁচার লড়াই
নয়তো এবার বিক্রি করো।
সাঁজতে হবে তোমায় নারী
ঢাকতে হবে বক্ষ খানা
ছাড়ো তো এসব, অনেক হয়েছে
হও তো এবার বীরাঙ্গনা।
দেখতো এবার আসবে কে
বক্ষ চুষে আগুন পোঁড়াতে
রাবন সাঁজো তোমরাই আজ
তোমাদের কে বাঁচাতে।।
গোপাল চন্দ্র দাস
প্রীতম শীল
যারা গড়ে ইমারত
আজ স্বচক্ষে দেখলাম হাজারো শ্রমিক,
বহু কষ্টে সিঁড়ি বেয়ে ইমারত গড়ে!
কিন্তু তাদের কারোই ছাদ নেই,
কলঙ্কহীন মাথার উপরে।
তবুও দিনের পর দিন তারা কষ্ট করে,
হাড় ভাঙা মটমট শব্দে।
দিন শেষে সামান্য মজুরী তবুও শ্রমিক,
সব সয়ে যায় নিঃশব্দে।
কারণ ঘাম ঝরানো টাকায় নেই গরম,
নেই কোনো অহংকার।
শান্ত মনে শ্রমিক তবুও গড়ে,
সুন্দর ইমারতের বাহার।
দেখেছি আমি ষাটোর্ধ্ব বয়সে,
ষাট কিলো ওজন তুলতে।
বছর পনেরো ছেলেটা সেও এসেছিল,
অভাবের জ্বালা ভুলতে।
দেখেছি মা জাতির মেয়েটা শাড়ি না পড়ে,
পুরুষের শার্ট গায়ে জড়িয়েছে।
আসলে টাকা কি সমাজে এতটাই,
প্রয়োজনের গন্ধ ছড়িয়েছে?
আমার তোমার শ্রম যারা কিনছে আজ,
হাটবাজারে অতি সস্তায়।
হাঁড় ভেঙে একদিন চলে যাবো আমি তুমি,
তাতে কার কি আসে যায়।
প্রণব দাস
মা আমি তোমার অভি বলছি
তোমার কথা আজ বড্ড মনে পড়ছে
তাই একখানা চিঠি না লিখে পারলাম না,
তোমরা নিশ্চয়ই খুব ভালো আছো?
হ্যা আমিও ভালো আছি,,
শুধুই যে ভালো বলার জন্যে
বলতে মাগো খুব কষ্ট হয়,
আজ শুধুই তোমার কথা মনে পড়ছে,
সব ঠিকই চলছে কিন্তু ঘুমাতে গেলেই তোমার গল্পের কথা মনে পড়ে;
হ্যা মা তোমার অভি এখন একাই ঘুমাতে জানে
তোমার ছোট্ট অভি এখন খুব বড় হয়ে গেছে
তুমি কোনো চিন্তা করো না মা
তোমার অভি চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ে।।
সাথে কেউ থাকুক কিংবা না থাকুক চোখের অশ্রু ঠিকই থাকে।
তোমাদের ছাড়া সেই অশ্রুই আমার ঘুমের সাথী।।
তা কে আর দেখবো!?
কেউ তো এসে আর জিগ্গেস করবে না,
অভি ঘুমিয়েছিস কিনা??
তোমার সেই ডাক সেই কন্ঠস্বর ঘুমাতে এলেই কানে বেজে উঠে;
তবুও ঘুমিয়ে পড়ি একা একা।।
মনে পড়ে,
সেই দিনগুলোর কথা
ছোটবেলায় যখন চোখে ঘুম আসতো না তোমার কন্ঠে সেই ঘুম পাড়ানি মাসি পিসির গানটা
তোমার মনে আছে কিনা জানিনা মা,,
কিন্তু সেই আওয়াজ আজও আমার কানে বেজে উঠে
হ্যা মা হ্যা তোমার অভি খুব বড় হয়ে গেছে একাই কলেজে যায়,
নিজে বানিয়ে টিফিন খায় কিন্তু তোমার হাতের স্বাদ জিহ্ব থেকে যেন যেতে চায় না,
সময়ে তাগিদে খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি,
পড়াশোনা!!পড়াশোনা!! পড়াশোনা!!
সামনেই সেমেষ্টার এক্সজাম
অনেক চাপ।
আমি এখন খুব সিরিয়াস
তা তুমি হয়তো জানবে না!?
ছেলে আগরতলায় পড়ে তুমিও হয়তো গর্ব করো।।
কাছে থেকেও দূরে তুমিও
কিন্তু অন্তরেতে অনেক কাছে যে তুমি মা,,,
তোমায় ছাড়া সত্যি ঘুম আসে না।
সকালে উঠেই কলেজ টিউশন আর ভালো লাগে না ।।
কিন্তু প্রশ্ন একটাই জাগে
ভবিষ্যত!!
তুমি একদমই চিন্তা করো না মা,,
তোমার অভি সব পারবে
দেখে নিও,,,
অনেক কথাই বলার ছিল সব তো আর বলা হয়ে উঠে না,,
তবে তা থাক
অন্য কোনোদিন নাহয় বলবো
হ্যা আরেকটি কথা বলার আছে-
বাবার খেয়াল রেখো,,
পঙ্কজকে বলো ভালো করে পড়াশোনা করতে
পড়াশোনার যা ডিমান্ড এখন
শুধুই কম্পিটিশান
অনেক বলে ফেলেছি
ফোনে বলা সম্ভব হয়নি বলে চিঠি লিখলাম
তুমি যে আমার জননী
হ্যা তবে নিজের খেয়াল রেখো
তবেই দেখবে তোমার অভি
খুব ভালো থাকবে খুশি থাকবে
হাসি মুখে থেকো
হাসি মুখ রেখো
ইতি তোমার অভি।।
গৌরাঙ্গ রক্ষিত
সৈকত সরকার
না হলাম রবীন্দ্রনাথ, না হলাম রোদ্দুর।
না হলাম রবীন্দ্রনাথ
না হলাম রোদ্দুর
ভগা জানে কদিন দৌড়াবো,দৌড়াবো আর কদ্দুর ।
না হলাম দুঁদে বুদ্ধিজীবী
না হলাম শুদ্ধ গান্ডু
আমি উলঙ্গ রাজার সেই শিশুটা নির্ভয়ে ভাঙ্গি ফান্ডু ।
না হলাম ক্লাসের ফাস্ট বয়
না হলাম ব্যাকব্যাঞ্চার পুরো
আমাতে আমি জম্পেশ ভিলেন, আমাতে আমি হিরো।
পূজা মজুমদার
শুধুই আমি
দুনিয়ার ভাগাদরিতে তুমি যখন উলঝিয়ে থাকবে.....
তখন আমায় পাশে ডেকে নিও
যেনো তোমার কাঁধে শুধুই আমি... শুধুই আমি। সময় যখন অপেক্ষার হবে কিছু এমনভাবে অপেক্ষা করবে যেখানে শুধুই আমিই আছি..... যেখানে শুধুই আমিই আছি।
যদি ভিজতে না পারি তোমার সঙ্গে বাইরের বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে আমায় তোমার মনে মিলিয়ে নিও.... দেখবে আমিও ভিজছি তোমার সাথে।
সময় যখন অপেক্ষার হবে কিছু এমন ভাবে
তখন পাশে শুধুই আমিই....
তখন পাশে শুধুই আমিই।
যদি আমি ভেঙ্গে পড়ি সময়ের সাথে লড়তে লড়তে
কিছুটা এমনভাবে সামলে নিও
যেনো তোমারই ভরসা
শুধুই আমি...শুধুই আমি।
সময় যখন অপেক্ষার হবে
কিছুটা এভাবে অপেক্ষা করবে
যেখানে শুধু তোমার জন্য
আমিই.... শুধুই আমি।
দুনিয়ার ভেজাল রং-এ যদি আমি বেরং মনে হই তোমায়.... তখন!
ভাববে না আমি নেই,
তোমার রঙিন দুনিয়া.... শুধুই আমি শুধুই আমি।
গোবিন্দ ধর
বিজন বোস
অনিচ্ছায় ঢুকে গেছি বদ্ধ ঝিনুকে
নিমেষে গলিত লাভা
গরল বিনাশী অমৃতময় তরল পানীয় ।
রাইফেল থেকে আসছে গোলাপ ,
নষ্ট ফুলের দুষ্ট কীট
শুভ্রতার প্রতীক হতে
প্রতিযোগিতায় সামিল .. .
সে তোমার প্রেম স্পর্শ ।
একদিন মনু নদীর তীরে
দেখেছি হিংসার জমকালো রিহার্সাল ,
সংঘ আগ্নেয়াস্ত্র তীব্র মতবাদ
গ্রীবা চেপে ধরেছিল
তবু বাঁচার দুরন্ত ইচ্ছে জেগেছিল মনে
যাইনি আত্মহত্যায় ,
শুনেছি দেশমাতার উদাত্ত আহ্বান ,
পরক্ষনেই বুঝেছি কেটে যাবে এই ভয়ার্ত রজনী
আগত আনন্দ নিখিল জীবনের
গাঢ় আলিঙ্গন সুবাতাস আর অমল নিঃশ্বাস ।
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...