সপ্তমী
কষ্ট-টা এখনো চাপা পড়েনি, পরার কথাও না। বন্ধু বলে কথা। শিশিরে শিশিরে মায়ের আগমনীর বার্তা এসেছিল তিনটি বছর আগেও। প্ল্যান হয়েছিল এবার সপ্তমীর রাতে মাকে দেখবো শহরের বুকে। বাঙালীর প্রতিটি ঘর আলো করে মা এসেছিল নতুন সাজে। মণ্ডপে মণ্ডপে মায়ের মন্ত্র, ডাক কাঁসরের শব্দ। মা হাসছে, বিরাট সেই অট্ট হাসি। ষষ্ঠীর পূজো পেয়ে সপ্তমী-তে মায়ের রাঙা মুখ। এক আঁধারবিহীন রাত, সাত বন্ধু মটর সাইকেল চড়ে চলছি শহরের দিকে। সামান্য তাড়াহুড়া, গতিটা একটু বেশী। শহরে পৌঁছায়নি, মাঝেই বন্যা বিনা বৃষ্টির। রক্ত বইছে রাস্তার বুকে। রজত নেই। পাছে বহু জমানো স্মৃতি আর প্ল্যান। এবারেতেও মা এসেছে। মায়ের সামনে মা দাঁড়িয়ে, খালি হাতে পাগল-বেশে। বাবা দুর্গার মুখ দেখতে নারাজ। গত বছরের ন্যায় এবারও প্ল্যান হয়েছে সপ্তমীর রাতের। কিন্তু মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে এবারও প্রদীপ জ্বালাব রজত নামের।
ভালো থাকিস বন্ধু ঐ পাড়ে,
সপ্তমী দেখবো আবার পর জন্মে।
সকল-কে শারদীয়ার শুভেচ্ছা। সকলের উদ্দেশ্যে আমার সামান্য অনুরোধ, কোনো তাড়াহুড়া নয় ধীরে-সুস্থে মটর সাইকেল বা যানবাহন চালাবেন। যদি সম্ভব হয় পূজোর কটা দিন মটর সাইকেল বা যানবাহন থেকে বিরত থাকবেন। কারণ আপনার জীবন শুধু আপনার নয় কয়েক-টা জীবনের।
No comments:
Post a Comment