Sunday, October 6, 2019

গোবিন্দ ধর

আকাশে পুজো পুজো গন্ধ এবং বাবা ।

 এই সময় বাবার কথা খুব মনে পড়ে। আমার বাবা সবার সেরা। বাবা সমান ভাবে আমাদের ভাইবোনদের দেখতেন। সবার জন‌্য একরকম ভাবতেন। আমরা তাই আট ভাইবোন সকলেই কম বেশী বাবার আর্দশে বড় হয়েছি। 


ছোটবেলার কথা বাবার কথা আজ কেবল মনে পড়ছে।আমাদের ছোটবেলা রাতাছড়া বাজার খুব জমজমাট ছিলো। পার্শ্ববর্তী সকল গ্রাম থেকেই এই বাজারে লোকজন আসতেন। যাত্রাদল, পুতুলনাচের দল আর স্থানীয় ধামাইল কীর্তনীয়া মনসামঙ্গল কবির লড়াই সবই ছিল।পুজোর আর্কষণ বলতে আর ছিল রাতাছড়ার যাত্রাদল। 


কলকল প্রবাহিত মনুর জলডাক আমাদের মন চ্ঞ্চল করে দিত। বালুস্নান, বালুপ্রেম আমাদের ছোটবেলাকে এতটাই ঘিরে আছে, মন সকল সময় রাতাছড়াকেন্দ্রিক এক মায়ার কুহক। তাকে আর সরিয়ে দিতে হয় অক্ষম আমি।  আসলে ছাড়তেই চাইনা আর। 


বলছিলাম বাবার কথা। কিন্তু বাবা এবং রাতাছড়াও সমান্তরাল আমাদের জীবন ডিঙ্গির পাটাতন ধরে গুণ টানছে। 


ছোটবেলা পুজোর সময় আমাদের  ভাইবোনদের জন‌্য ড্রেস আসতো। বাবার পছন্দ মতো। আমরা কিসছু রা করতাম না। এক কালার। এক ডিজাইন।আমরা যেন ভারতীয় সৈন‌্যদল। বাবা কমান্ডার।  আমরা রাস্তায় বের হলেই পাড়াশুদ্ধ সকলেই বাবার নাম বলে দিতে পারতেন। এতে আমাদের অহংকারই হতো। আজকালের ছেলেমেদের এইভাবে কেউ জানতেও পারবে না। 


পুজো এলেই বাবার জন‌্য মন অপেক্ষা করে এই বুঝি বাবা এসে ড্রেস কিনে দেবেন। আমরা আবার ভাইবোনরা নিজেদের দূরত্ব ভুলে যাবো। ভাইভাইকে ডাকবো। ভাই বোনকে ডাকবো। বোন ডাকবে ভাইকে। চল বাবা পোশাক এনেছেন পুজোয় যাবো। 


No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...