Wednesday, May 31, 2023

রিয়া রায়

বিষাক্ততা সর্বত্র

Toxic মানে বিষাক্ত 
আমাদের সমাজ এখন এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেখানে খুব সহজেই কাউকে toxic বলে দেওয়া যায়। খুব সহজেই কোনো সম্পকর্কে বিষাক্ত বলে দেওয়া যায়। আর অনাহেসেই কারোর চিন্তা বা অনুভুতিগুলোকে বিষাক্ত বা so called toxic শব্দের আবরণে মুড়ে দেওয়া যায়।কখনো উল্টে সেই মানুষটার চিন্তার কারণ বা ঐ সম্পর্কের ঘুলিয়ে যাওয়ার কারন খুঁজেই দেখতে চাই না। কারন বিষাক্ত শব্দে তো আর কোনো হেয় নেই ,এটা তো আজকাল কত সাধারন তাই না? আর এই শব্দটার সাথে সাথে কিছু অনুভুতিকে এতটা নগন্য করে দিয়েছে ,কারা? জানো ?আমাদের এই সমাজ। মানে সমাজে থাকা তুমি আর আমি। কিন্তু কোনোদিন কি ভেবে দেখেছি কারোর ওরকম চিন্তার বা অনুভুতির কারন কি? 
আজকাল অপসারন আর প্রতিস্থাপন করাকে যেমন খুব সহজ এক জিনিস বলে গণ্য করে সবাই। কি সহজেই বলে দেয় এটা না হলে ওটা করে নিবি। আরে ওটা চলে গেছে তো কি অন্যটা নিয়ে নিবি। নিলেই তো হয় একটু মানিয়ে, সবকিছু কি তোর মতো হওয়া চায়? 
- আর যখন তুমি মানিয়ে নিতে পারবে না ঠিক তখনই চারিদিক থেকে একটা বড়সড় ধাব্বা এসে জুড়বে তোমার নামের সাথে তা হল- toxic । 
কিন্তু কি করে মানিয়ে নেবে বলো তো? সেগুলোর সাথে যা তোমার চিন্তারও বাইরে ছিল। এই যেমন তোমার কোনো প্রিয় জামা।হয়তো সেটা প্রয়োজনে এখন আর আসে না কিন্তু এইটার সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে, সেটাকে দেখলেই তোমার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে বা নিমেশেই তুমি একটু হারিয়ে যাও মিষ্টি চিন্তার ভিড়ে , কিন্তু কিন্তু highlighted কিন্তু একটা কথায় হবে সেটা তোমার এখন আর প্রয়োজনে আসে না।তাই যার দরকার এমন কাউকে দিয়ে দাও। কিন্তু যখনই তুমি দিতে চাও না সেটা বোঝাবে ঠিক তখনই তুমি হয়ে দাঁড়াবে স্বার্থপর , হিংসুটে আর বিষাক্ত। কিন্তু কেউ এটা জানতে বা বুঝতে চাইবেই না যে হয়তো এইটার জায়গায় অন্য কোনো দামি জামাটা চাইলে দিয়েও দিতে হলে। কিন্তু তোমাকে বোঝার এতো সময় এখনকার সমাজের নেই। কারন সবাই সবার মতো ব্যস্ত আর সুযোগে তোমার একদুটো কথা শুনেই judge(বিচার) করতে সময় চলে যায়। 
আজকাল তো আর এক বেশ ট্রেন্ডিং গল্প চলছে টিভির পর্দায় বলো আর সমাজে, ধরো দুই জনের সম্পর্কের মাঝে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ক সমস্যায় সম্পর্কের তালবদল হলে আর দ্বিতীয়ক্ষণে তৃতীয়ব্যক্তির আগমন আর সেই হয়ে দাঁড়ায় গল্পের সঠিক আর প্রধান চরিত্র। আর অন্যদিকে , বাদ পড়া চরিত্র, তার না পাওয়া স্বপ্নের ভাঙ্গা টুকরো আর অনুভুতিগুলোকে নিয়ে হয়ে দাঁড়ায় ভিলেন। কেন বলতো সে ভিলেন? আধিকার তো তারই ছিলো সে কেন ছেড়ে দেবে আর এতো সহজ সব ছেড়ে দেওয়া? কিন্তু যেই সে ছেড়ে দেবে না তবেই সে হয়ে দাঁড়ায় একটা toxic personality। গল্প কী এখানেই শেষ হয় ? সে যদি ছেড়েও দেয় তবে সে হয়ে দাঁড়াবে এক দুর্বল চরিত্র হয়ে আর আমরা জানি দুর্বল চরিত্রের ভুমিকা আর কজনই মনে রাখে? 
তাই আমার মনে হয় এই সমাজে নিজের আধিকার আর নিজেকে হারিয়ে যেতে না দিতে হয় ,তবে এই toxicity ভার নিয়ে রাখায় ভালো নিজের কাধে কারন অম্নিতেও কেউ তোমার গুন গায়বে আর তম্নিতেও কেউ তোমার দিক বুঝবে না। এরচেয়ে toxic হয়ে নিজের ভালোলাগা নিজের কাছে রাখা ঢেড় ভালো। 

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...