Sunday, June 5, 2022

দীপক দাস

সুন্দরের আপেক্ষিকতা

সেদিন বিয়ে বাড়ী থেকে স্কুলে এলে, আমার এক সহকর্মী আমাকে প্রশ্ন করল মেয়েটি সুন্দরী কিনা।আমি উত্তর দেবার পরিবর্তে তাকে জিজ্ঞাসা করি," তুমি কী জানতে চাও"? ও আমার প্রকৃতি বুঝে বলল" মেয়েটির রঙ কেমন"? বললাম কালো।মেয়েটির উচ্চতা কত জামতে চাইলে বললাম, পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি হবে। স্বাস্থ? - ভালো
আমি ভাবতে থাকি প্রকৃতপক্ষে আমরা যা জানতে চাই,সেটি হল মোয়েটি সুন্দরী কিনা!

এখন প্রশ্ন, একটি মানুষ সুন্দর কী অসুন্দর - এ প্রশ্নটি আদৌ সংগত কিনা? দ্বিতীয় প্রশ্ন মানুষের  সৌন্দর্যের সংজ্ঞা কী? মানুষকে কী সুন্দর বা কুৎসিত  এই দুভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তরটি খোঁজা যাক।প্রথমত প্রকৃতিতে জীব এবং উদ্ভিদ যেদিকেই তাকানো যাক না কেন, সর্বত্রই বৈচিত্র্য। অগনন উদ্ভিদ ও প্রাণী।প্রত্যেকটি দেখতে অপরটির চেয়ে পৃথক।কাজেই এর চেয়ে ও সুন্দর একথাটিতো আসতেই পারেনা। ভিন্ন জাতীয়ের মধ্যে কী তুলনা চলে? সমজাতীয়ের মধ্যেও প্রতিটি প্রাণী অপর প্রাণীর চেয়ে দেখতে ভিন্ন। কাজেই তুলনার মাপকাঠি  কীহবে? কোন কিছু নির্ণয়ের জন্য একটি এককের প্রয়োজন। এখানে একক কী হবে?
মানুষের ক্ষেত্রে জমজ ছাড়া একটি মানুষের চেহারার সাথে অপর মানুষের চেহারার কী কোন মিল আছে? তাহলে সুন্দরের তুলনা হবে কী করে? আবার জলবায়ু ভেদে মানুষ কালো, ফর্সা বা বাদামী বর্ণের হয়।এখানে কালোর সাথে ফর্সা বা বাদামীর কী করে তুলনা হবে- প্রতিটি রঙ যেখানে ভিন্ন।আবার আমরা বলি মেয়েটি বা ছেলেটি সুন্দর। অথচ আর একজনের সাথে তুলনা করলে তাকে তখন সুন্দর মনে হয়না।  এক্ষেত্রে তার সৌন্দর্য  কী ঠিক নয়? এই মুহূর্তে যে সুন্দর সে অসুন্দ হয় কী করে? তাহলে বলা যেতে পারে,  প্রতিটি মানুষই সুন্দর।অথবা এভাবে বলতে পারি ছেলেটি বা মেয়েটির স্বাস্থ্য  ভালো ও সুগঠিত।তার শারীরিক ত্রুটি থাকলে তা উল্লেখ করা যেতে পারে।প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি মানুষই সুন্দর।
অন্তরের সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। কারণ নিজেকে সুন্দর করা অর্থাৎ চরিত্রকে সুন্দর করা এটা তার হাতে।চেষ্টা করলে তা করা যেতে পারে। অথচ যা আমার আয়ত্তাধীন নয় তারই ফল ভোগ করি আমরা।এসব যুক্তি হয়ত আমাদের অনেকের মনেই আসে কিন্তু আমাদের মনে যুক্তির অতিরিক্ত  একটাকিছু মনের গভীরে কাজ করে।প্রকৃতপক্ষে তারই নির্দেশে মানুষের জীবনের বহুলাংশ নিয়ন্ত্রিত হয়।একটি দল বা নীতির প্রতি আস্থাবান একজন লোককে, যুক্তি দিয়ে তার নীতির ভ্রান্তি প্রমাণ করা গেলেও দেখা যায়, সে সেই নীতিতেই বিশ্বাসী থাকে।

এখন প্রশ্ন, একটি মানুষ সুন্দর কী অসুন্দর - এ প্রশ্নটি আদৌ সংগত কিনা? দ্বিতীয় প্রশ্ন মানুষের  সৌন্দর্যের সংজ্ঞা কী? মানুষকে কী সুন্দর বা কুৎসিত  এই দুভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তরটি খোঁজা যাক।প্রথমত প্রকৃতিতে জীব এবং উদ্ভিদ যেদিকেই তাকানো যাক না কেন, সর্বত্রই বৈচিত্র্য। অগনন উদ্ভিদ ও প্রাণী।প্রত্যেকটি দেখতে অপরটির চেয়ে পৃথক।কাজেই এর চেয়ে ও সুন্দর একথাটিতো আসতেই পারেনা। ভিন্ন জাতীয়ের মধ্যে কী তুলনা চলে? সমজাতীয়ের মধ্যেও প্রতিটি প্রাণী অপর প্রাণীর চেয়ে দেখতে ভিন্ন। কাজেই তুলনার মাপকাঠি  কীহবে? কোন কিছু নির্ণয়ের জন্য একটি এককের প্রয়োজন। এখানে একক কী হবে?
মানুষের ক্ষেত্রে জমজ ছাড়া একটি মানুষের চেহারার সাথে অপর মানুষের চেহারার কী কোন মিল আছে? তাহলে সুন্দরের তুলনা হবে কী করে? আবার জলবায়ু ভেদে মানুষ কালো, ফর্সা বা বাদামী বর্ণের হয়।এখানে কালোর সাথে ফর্সা বা বাদামীর কী করে তুলনা হবে- প্রতিটি রঙ যেখানে ভিন্ন।আবার আমরা বলি মেয়েটি বা ছেলেটি সুন্দর। অথচ আর একজনের সাথে তুলনা করলে তাকে তখন সুন্দর মনে হয়না।  এক্ষেত্রে তার সৌন্দর্য  কী ঠিক নয়? এই মুহূর্তে যে সুন্দর সে অসুন্দ হয় কী করে? তাহলে বলা যেতে পারে,  প্রতিটি মানুষই সুন্দর।অথবা এভাবে বলতে পারি ছেলেটি বা মেয়েটির স্বাস্থ্য  ভালো ও সুগঠিত।তার শারীরিক ত্রুটি থাকলে তা উল্লেখ করা যেতে পারে।প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি মানুষই সুন্দর।
অন্তরের সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। কারণ নিজেকে সুন্দর করা অর্থাৎ চরিত্রকে সুন্দর করা এটা তার হাতে।চেষ্টা করলে তা করা যেতে পারে। অথচ যা আমার আয়ত্তাধীন নয় তারই ফল ভোগ করি আমরা।এসব যুক্তি হয়ত আমাদের অনেকের মনেই আসে কিন্তু আমাদের মনে যুক্তির অতিরিক্ত  একটাকিছু মনের গভীরে কাজ করে।প্রকৃতপক্ষে তারই নির্দেশে মানুষের জীবনের বহুলাংশ নিয়ন্ত্রিত হয়।একটি দল বা নীতির প্রতি আস্থাবান একজন লোককে, যুক্তি দিয়ে তার নীতির ভ্রান্তি প্রমাণ করা গেলেও দেখা যায়, সে সেই নীতিতেই বিশ্বাসী থাকে।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...