Saturday, November 23, 2019
সম্পাদকীয় প্যানেল
দীপক দাস
সংগীতা শীল
বিনয় শীল
অভীককুমার দে
দুলাল চক্রবর্তী
বিজন বোস
রাষ্ট্র যখন বর্গী হয়
লুটের উৎসব জমজমাট
মেধা বিক্রির মহামেলা
সমাজব্যাপী মত্সনায় ।
পূব আকাশে সোনালী সূর্য
থমকে দাঁড়ায়
মাটি ও মানুষের হৃদপিন্ড ছেঁড়া
চিত্কার শুনে ,
গন্ধশুঁকো শিকারী কুকুর সোল্লাসে
বিজয় পটকার প্রতিযোগিতা বসায়
আর লণ্ডভণ্ড করে মানুষের স্বপ্নের বাগান।
ওদিকে ক্লান্ত প্রত্ননগরীর রক্ত আর ঘামে
স্বপ্নকে বন্ধক রেখেও
এগিয়ে যেতে চায় যে কিশোর
তাকেও রেহাই দেয়না রাষ্ট্রের লান্পট্য ক্রোধ ।
বুকের রক্তে আর কত গল্প হবে
উন্মত্ত হস্তীর লুণ্ঠন আর কত সইবে দেশ ?
মাটিকে মাতৃজ্ঞানে পূজো করা
বুড়ো দুলাল তাঁতির
স্বখেদ প্রশ্ন
আমরাতো যুদ্ধপরাধী নই--
তবু কেন পচে মরছি ডিটেনশন ক্যান্পে ?
সংগীতা দেব
অনুপম দেব
বাবুইর প্রেম
পক্ষীদেশে আছিলো সুন্দরী একটা ময়না
ওই দেশেরই এক বাবুইর মনে ওই ময়নার লাইগ্গা প্রেমের আনাগুনা,
গুন্ডা কাক যে ময়নার দাদা জানতো ইডা বাবুই
এখন শুনি কি কয় এই প্রেমপাগলা মশাই,
একদিন ময়নার কাছে বাবুই পাখি কানে কানে কয়
চল নীল গগনে উইড়া বেড়াই কিয়ের এতো ভয়?
ময়না তখন কয় বাবুইরে জানস না তুই গাঁধা!
দেখতা পারলে মাইরা লাইবো কাক আমার দাদা,
বাবুল তাতে কি, আমি ইতা ডরাই না
তুমি আমার সঙ্গে থাকলে এইসবে কিছু যায় আয়ে না,
ময়না বলে দাদা আমার বড় গুন্ডা, লম্বা তার ঠোট,
একটা তর ঘাড়ে দিলে হইবি প্রেম ছাইড়া ফুড়ুৎI
সুজন দেবনাথ
যদি পারো তো বড় ব্যথা দাও
যদি পারো তো বড় ব্যথা দাও
যদি ব্যথার মতো ব্যথা দিতেই না পারো
তবে ব্যথা দিও না
ছোট খাটো ব্যথা না চাইতেই মেলে
পথে ঘাটে হাটে মাঠে
যদি পারো তো বড় ব্যথা দাও
যে ব্যথায় আমি অভ্যস্ত নই
আমায় এমন ব্যথা দাও
যে ব্যথায় আমি চূর্ণ বিচূর্ণ হবো
ক্ষত বিক্ষত হবো
হতে হতে একদিন মিশে যাবো
কৃষ্ণ মেঘে,
মিশে যাবো কালের অতলে
মিশে যাবো মহাকালের অসীম শূন্যতায়
আমি হারিয়ে যেতে চাই পৃথিবীর বুক থেকে
ভালোবাসা আর চাইব না
কোনোদিনও না
ভালোবাসায় এখন বদ হজম হয়
আসলে ভালবাসার চাইতে এখন
ব্যথায় ভালো লাগে
মৌ মন্ডল (গাঙ্গুলী)
দিপ্সী দে
অনুপম রায়
চব্বিশ ঘন্টার পাঁচ তারা
যদি আলো ভাঙা ভোরে, কেউ ডাকে বারেবারে
আসবো আমি তারই খোঁজে বিশ্ব হৃদয় জুড়ে;
যদি সূর্য্যিমামা ঠিক দুপুরে চোখ রাঙিয়ে দেখে,
বটের ছায়া নিয়ে যাব পথের আঁকেবাঁকে ;
যদি বিকেলগুলো সময় করে আড্ডা দিতে আসে,
পাখির ঝাঁকে আসবো আমি জমবে অবশেষে;
যদি তুলসীতলে প্রদীপ জ্বলে সন্ধ্যা নামার পরে,
পাখি,পথিক,রাখাল,আমি ফিরব ঘরে ঘরে;
যদি বিভোর নেশার স্বপ্নগুলো রাতের দেশে যায়,
আমি অবুঝ মশাল হাতে আলোর হাত বাড়ায়।
উৎপল দেবনাথ
সজীব পাল
নারীর ভিতর থেকে শকুনের মতো খাদ্য খুঁজেছি,
এই পৃথিবীর একটা সমুদ্র ডিঙাবো বলে।
কেউ শব্দে কেউ নিঃশব্দে
অথবা কেউ আঙুল দেখিয়ে বলেছে,
"একে নির্বাসন দাও এই নারীভোগী।"
জানি কখনো কখনো মহামানব
নীরবে উচ্ছন্নে যায় ।
এইটা তো তার দোষ নয়!
তার ভীতরে গড়ে ওঠা পাথরের সংঘর্ষ ।
এই যে স্ফীত যৌবনের কঠিন জ্বালা ।
একমাত্র পুরুষের ভিতর সৃষ্টি হওয়া
কবিই জানে 'নারী পুরুষের 'মধুর সম্পর্ক ।
কত নারী হেঁটে গেছে-
কত যুগ যুগ ধরে পুরুষের হৃদয় ছুঁয়ে,
তবুও একবিন্দু স্পর্শের ক্ষুধা মিটে না।
তাই নারীর ভিতর খুঁজে যাই সুখ, সুখ এবং সুখ।
মুকিম মাহমুদ মুকিত
সেই শিশির ভেজা ঘাসে,
ভিজে যাক পা ;
জমে থাকুক মাথার এলোকেশে
কুয়াশার বিচ্ছিন্ন শুভ্র কণা।
আবার প্রতিক্ষায় চেয়ে থাকা হোক পথ
যেমতি থাকে শীতার্ত ভোরে
শিডিউল হারানো সূর্যের আকাঙ্খা ;
অপূর্ণতায় লেগে যাক পূর্ণতার ঘুম।
অথবা আকুতি থাকুক নওল ঊষার কাছে
একটু ধীরে চলবার।
গোধূলি লগ্নে নীলাম্বুধির পারে
আরও একবার হয়ে যাক,
শীতনিদ্রার অব্যর্থ আয়োজন।
চোখের পাতা ঝাপসা হয়ে ভিজুক
ঘন কুয়াশায় মিলিয়ে যাক পথ,
হীম শীতে বাধ্য হয়ে বন্ধ হোক
প্রকৃতি বিমুখ রথ।
সৈকত সরকার
স্বাধীনতার সূর্য লাল।
সময় নেই
এখন চাঁদ দেখার!
ভাতের বড্ড আকাল!!
ক্ষুদার্ত শিশু আধমরা হয়ে আছে,
কিন্তু
ওরা ব্যাস্ত ভন্ডামি তে,
ওরা ব্যাস্ত গদি দখলে।
ওদের কান নেই, হৃদয় নেই,ঈমান নেই,
বিবেক রঙ কাগজে বিকিয়ে গেছে।
ওরা সন্ধ্যায় চাঁদ খুজে
আমি খুঁজি রাস্তার বুকে একটুকরো পাথর,
আকাশের চাঁদ অপেক্ষা
রাস্তার পাথর আমার অধিক প্রিয়,
কারণ-
শোষণের বিরুদ্ধে শোষিত যখন তা তুলে নেয়,
বিপ্লবের আগুন অমাবস্যা জ্বালায়,
একরাশ ছাইয়ের পাহাড় ভেদ করে
জন্ম নেয় এক নতুন সকাল,
পুর্ব দিগন্তে সালাম দেয়
স্বাধীনতার সূর্য লাল।
সুস্মিতা সিংহ
সুব্রত দেববর্মা
পূজা মুজমদার
ঋতুর অ'সুখ
আমি যে শয্যাশায়ী ঋতুর ব্যথায়,
চোখের বর্ন হলো ফ্যাকাসে হায়!
আমি চুপ করে সয়ে যাই সব...
সাতটা দিন........
সে কি কম যন্ত্রনার??
আমার মুখ দিয়ে যে আজ আওয়াজ থেমে থেমে
আসে বারবার...
কারন ঋতু চলছে আমার।
ব্যথায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছি কয়েরবার।
তবে এসকলের ভিরে না আমায় সুন্দর দেখাচ্ছে...
কচি শিশুর চেহারাটা যেমন
ঠিক তেমনই দেখাচ্ছে....
ঋতুকালীন সময়ে কাছাকাছি যদি কখনও হও
তবে মন ভরে আমার ওই মুখমন্ডলখানা তোমার চোখের পলকে চুমিও।
প্রীতম শীল
কাঁদো মাগো কাঁদো
বড়ই কৌতূহল জাগে মা,
কোথায় পাও এত সহিষ্ণুতা।
মৌন ভাবে কিভাবে থাকো মা,
কি শক্তি দিলো তোমায় বিধাতা।
আমরা যখন জ্বালিয়ে মারি তোমায়,
কেমনে হাসি মুখে থাক তুমি?
কেন তোমার কান্না পায় মাগো,
যখন খাবার খাইনা আমি?
তুমি যখন অনাহারী মাগো,
কান্না আমার কেন পায়না?
আড়ালে যখন কাঁদো মাগো,
কষ্ট কি তোমার হয়না?
যে সন্তান লালন করো তুমি,
আমরা কি যোগ্য তার।
হাসি মুখে সব সয়ে যাও মাগো,
একি তোমার মহান বিচার।
কাঁদো মাগো কাঁদো তুমি,
প্রসব ব্যাথার কালে।
জীবন ভর কাঁদো তুমি মাগো,
লোকের চোখের আড়ালে।
চৈতন্য ফকির
সামিন শুভ
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...