পিতৃশোক
ক'দিন আগে দাদু মারা গেলেন। মৃত্যুর আগের রাতেও কত কথা বললেন। এ দুঃখ সামলানোর ভেতরই আমার বাবা অসুস্থ। শুনলাম বাবার অষ্ট্রেলিয়ান জণ্ডিশ। বাইরে কোথাও নিয়ে চিকিৎসা করালো সকলে, বাবা কোনোভাবেই সুস্থ হয়নি। পরবর্তী সময়ে আমাদের রাজ্যের ডাক্তারদের অধীনে বাবার চিকিৎসা চলতে থাকে। একমাস বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হলো। আমার বয়স তখন খুবই কম। কোনোকিছুই বুঝছি না। তখন শুধু এতটুকু বুঝেছিলাম বাবার খারাপ একটি অসুখ করেছে, তবে সবাই বলছে সুস্থ হয়ে যাবে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর, একদিন সকাল নয়টায় আমার দিদা হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম বাবা সুস্থ আছে কি না! দিদা বললেন সুস্থ আছেন। বাবা ঠিক আছেন। তবু দিদা কাঁদছেন। কেন কাঁদছেন তখন বুঝতে পারছিলাম না। তার কিছুক্ষণ পর আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি থেকে কিছু আওয়াজ আসছে। আমি দৌঁড়ে গিয়ে দেখি সবাই আমার বাবাকে শুইয়ে সবাই আগলে ধরে আনছে। আমি তখন বুঝেছি বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। আমার মা কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন। সেদিন থেকে এক অন্য জীবন হয়ে গেছে আমার। যে জীবনে বাবা নেই।
No comments:
Post a Comment