Thursday, June 29, 2023
সম্পাদকীয়
কবিতার গোপনকথা সংসাররূপ জলাশয়ে মেশা এক ক্ষরস্রোতা নদী। চোরাবালির মতো প্রতিটি লাইন। কোথায় কে কতটুকু ডুবতে পারে, তা নির্ভর করছে ওজনের উপর। আমি উপরেই হেঁটে আসি হালকা বলে। বিনম্র বলছি এ সংখ্যাটি অতি স্বল্প এবং কিছু সংখ্যক নতুনমুখ। মার্জনাপূর্বক পাঠের আমন্ত্রণ জানাই। সারা রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার বাছাইকৃত তরুণ প্রজন্মের কবি। স্কুল পড়ুয়া প্রতিভা প্রকাশের এক অনু উদ্যোগ রয়েছে এতে। যারা লিখেছেন, তাঁরা আরও লিখবেন আজীবন লিখবেন - এ আশাটুকু বুকে রাখি। সবাইকে কৃতজ্ঞতা। প্রণতি।
শ্রদ্ধা-সহ
জয় দেবনাথ
সম্পাদক
মনন স্রোত
দেবজিৎ সাহা
পিতৃশোক
ক'দিন আগে দাদু মারা গেলেন। মৃত্যুর আগের রাতেও কত কথা বললেন। এ দুঃখ সামলানোর ভেতরই আমার বাবা অসুস্থ। শুনলাম বাবার অষ্ট্রেলিয়ান জণ্ডিশ। বাইরে কোথাও নিয়ে চিকিৎসা করালো সকলে, বাবা কোনোভাবেই সুস্থ হয়নি। পরবর্তী সময়ে আমাদের রাজ্যের ডাক্তারদের অধীনে বাবার চিকিৎসা চলতে থাকে। একমাস বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হলো। আমার বয়স তখন খুবই কম। কোনোকিছুই বুঝছি না। তখন শুধু এতটুকু বুঝেছিলাম বাবার খারাপ একটি অসুখ করেছে, তবে সবাই বলছে সুস্থ হয়ে যাবে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর, একদিন সকাল নয়টায় আমার দিদা হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম বাবা সুস্থ আছে কি না! দিদা বললেন সুস্থ আছেন। বাবা ঠিক আছেন। তবু দিদা কাঁদছেন। কেন কাঁদছেন তখন বুঝতে পারছিলাম না। তার কিছুক্ষণ পর আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি থেকে কিছু আওয়াজ আসছে। আমি দৌঁড়ে গিয়ে দেখি সবাই আমার বাবাকে শুইয়ে সবাই আগলে ধরে আনছে। আমি তখন বুঝেছি বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। আমার মা কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন। সেদিন থেকে এক অন্য জীবন হয়ে গেছে আমার। যে জীবনে বাবা নেই।
অমিত রুদ্র পাল
বৃষ্টি
তুমি কি আমার বৃষ্টি হবে
আমার শুষ্ক
অপতিত বুকে
অবিশ্রান্ত ধারা হবে?
তুমি অবশ্য চাইলে
ঝরণা হতে পারো,
ভোরের কলরবে
মধুর কলতানে
ঘর ফেরার পাখি
হতে পারো।
জয়িতা দে
মা
'মা' শব্দটি ছোট্ট হলেও ব্যাপকতায় বিশাল।
দশমাস দশদিন গর্ভধারণের শক্তি তুমি,
তোমার স্নেহরসসিক্ত সুধাপানে লালিত হই মোরা।
মাগো, তোমার জন্য জীবনের প্রতিটা দিন অমূল্য;
তোমার শাসনে যেমন ভালোবাসার পরশ পাই,
তেমনি সারাজীবন পাশে থেকে শক্তি জোগাও তুমি।
সংসারের সকল কাজের পরেও পাও শুধুই লাঞ্ছনা;
বুঝে না তোমায় কেউ - তুমি যে ত্যাগের প্রতিমূর্তি।
তুমিই পথচলার শুরু, মোদের প্রথম শিক্ষাগুরু,
তুমিও যে ধরিত্রীমায়ের ন্যায় স্নিগ্ধ আর সহনশীলা;
হয়তো তোমার নামের অনেক প্রতিশব্দ রয়েছে-
কিন্তু,'মা' এই ছোট্ট শব্দটিতেই মাথা ঝুঁকাই সর্বদা।
সায়ন পাল
মুক্ততা
মনের গহীনে অস্পষ্ট মুখের আভা,
পরিচিত তবে খানিকটা পুরোনো।
সেই কবে দুরন্ত বিকেলে উড়ন্ত আঁচল,
শেষ চিহ্ন রেখে গিয়েছিল তারপর কি রেখেছে খোঁজ কখনো!
না, মনের অতল হতে কোন অতীত ভেসে আসে না।
বাস্তবতার মোড়ক অতীতের উপর ঢাকনা ফেলেছে,
মুছে নিয়েছে চোখের জল।
তবুও মিলনমুখি বসন্তের সমীরণে,
বাতাসে উদাসীনতার গন্ধ আসে।
কিন্তু ওই যে বললাম বাস্তবতা,
ভয়ংকরী রূপে যেন তাকে দূরে ঠেলে দেয়।
বিষাদের বিষে অমৃত ভাব আনে।
একলা মন আর ওই নীলাভ আকাশ মুখোমুখি,
শত পক্ষী উড়ে গেলেও একাকীত্বে ডুবে আছে ওই আকাশ,
তবুও বিষাদ নেই আছে মুক্ততার আশ্বাস।
সৈকত মজুমদার
দয়া চাই না
এখন আমার মনে হচ্ছে
চলাফেরা করতে পারি না বলে
আমি হুইল চেয়ার এ বসা বলে
ভালোবাসার নামে তুমি
আমায় দয়া করেছ এতদিন!
কারো দয়া চাইনি,
আজীবন ভালোবাসা চেয়েছি
আর আমি উপেক্ষা পেয়েছি!
নন্দিতা দাস চৌধুরী
অন্তহীন ছায়া
.
শ্রাবণ ঘেঁষা সহজিয়া ভালোবাসা পেলে মরা নদীও প্রবাহিনী,
শুরুটা অবারিত মুক্ত মাঠ ,
শেষটা প্রশান্তির কুলায় ফেরা হলেও প্রথম যৌবনের রাত প্রেমের অলিখিত তরঙ্গ,
অকাল কালবৈশাখী,
একরাশ মুগ্ধতার গোধূলি সিঁথি ভরে অনুরাগ কুমকুম ,
সবুজ আঁচলে আগলে রাখা অনাবিল স্নিগ্ধ বিনম্র বৈধটুকু,
অদৃষ্টের কালবৈশাখী ক্ষণিকেই দুমড়ে মুচড়ে পায়ের অক্ষর মুছে দেয়,
মুঠো ভরা পৃথিবী মুহূর্তেই নৈঃশব্দের অন্তহীন মূর্তিমান ছায়া।
শ্রীমান দাস
রিজার্ভেশন চিত্র
এ আমাদের রিজার্ভেশন
এ আমাদের 'হীরা'
এর উপরেই টপকে চলে
হাঁটা দোকানীরা ।
একের ভেতর চারের বুলি
বিজ্ঞাপণের ঢেউ,
বুলির খুলি ঘেঁটে ঘুঁটে
সার পায়নি কেউ ।
তৎকাল'র পেটে ব্যথা
এ,সি'র ভীষণ জ্বর,
জেনারেলেই লুটে আছে
রিজার্ভেশন দর।
যাত্রী নাছোড় ধর্মঘটী
ওয়াশরুমের গেটে ,
রিজার্ভেশন মানে খোঁজে
চিপছে যে তলপেটে।
বুলি ঝাড়া চুড়ামণি
দেখো নয়ন মেলে
তোমার লৌহশকট কেমন
চলছে হেলে দুলে।
অমিত কুমার নাথ
রুদ্র আর নেই
.
রুদ্র শুধু ভালোবেসেছিল আকাশ সমুদ্র এক করে,
তবে কাকে,
সে কোন ঝিনুক নয়,
লবনাক্ত জলের সাথে তার প্রেমের সখ্যতা গড়ে উঠেনি কখনো,
নিজকে নিজে জিজ্ঞেস করলে আজ আর কোন উত্তর আসেনা প্রান্ত থেকে।
সে আবেশ কেটে গেছে, ভরে গেছে কাঁটা ঝোপঝাড়ে,
রুদ্র বেদুইন হয়ে ঘুরছে অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের দিকে,
মিথ্যে এই জীবনের সংলাপ বয়ে আনে মরুঝড়।
ভালো আছে তারাই যারা কফিনে রঙ মাখতো,
এতোবার উল্টেপাল্টে ঠিকুজি যাচাই সবই মিথ্যে
হাতের আঁকিবুঁকি আঁকা আর জীবনের বেনামি গলিপথ সম্পূর্ণ ভিন্ন,
আজ রুদ্রের কোন আকাশ নেই, নেই কোন সমুদ্র
শুধু আছে একটা পাহাড়...
একটা নাম কতটুকু আর নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারে,
সে তো কোপারনিকাস নয়, নয় সে কলম্বাস
সব আবিষ্কার মিথ্যে করে রুদ্র জেগে থাকবে
এক বেনামি ইতিহাস হয়ে...
মাধুরী সরকার
তুমি আমি মিলে
আমার এলো চুলের ভাঁজে সেদিন
তুমি উপলব্ধি করেছো এ প্রেম মোহের নয়,
এ প্রেম আবেগের।
আমার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিলে একটু একটু করে,
অনন্তের পথে ভাবিকালের অঙ্গীকারে।
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা
অতিক্রম করে এসেছি অনেকটা পথ,
এভাবেই হেঁটে যেতে পারবো অন্তিম পা অব্দি
এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সেদিনের সূর্যোদয়ে সবুজঘাসে শিশিরের ছোঁয়া জানে
বিন্দু বিন্দু করে কতটা সোহাগ ঢেলেছে
আমাদের নির্জন সবুজ গালিচায়।
এ পথ পাড়ি দিতে চাই তুমি আমি মিলে
জীবনের অন্তিম মুহুর্ত পর্যন্ত।
এ শুধু কথার কথা নয়,
এ প্রেমে একদিন রচিত হবে প্রেমের মহাকাব্য।
প্রতীচি ভৌমিক
আমার বর্ষা প্রেমে অপ্রেমে
আমার বর্ষা আসে কবিতায় গানে
বৃষ্টির ধারায় নামে প্লাবন--কবিতায় বন্যা
বিরহী বিষম জ্বালায় মিলন মধু প্রাণে।
বর্ষার মেঘের ঘোরতর স্পর্ধা-- লুকায় সূর্য।
তোমার আধা ঢাকা মুখ
এক ফালি হাসি মিলায় পুবাকাশে--
অন্ধকারে হারাও তুমি অন্তস্থলে জেগে।
শুধু তোমার গায়ের গন্ধ আসে চাঁপার তীব্র সুবাসে।
বর্ষা মানে কদম ফুল তোমারই জন্য।
বর্ষা মানেই হঠাৎ ছোটবেলা,,,,
ঘরের ভেতর থেকে আকাশ দেখা
চাঁদনী রাতের অবসান,
ঘরের মেঝেয় পাতা কলস
স্থান চ্যুতির ভয়, কিছু ব্যথা কিছু ভালোবাসা,
কিছু বা আধভেজা রাত।
বর্ষা মানেই চিতায় ঘৃতাহুতি, সোদামাটির গন্ধ
আর জুম পাহাড়ে মাদল,,,,,
ঘন ঘোর বাদল,,,,,
বর্ষা মানেই ঘুঙুরু পায়ে অবিরাম নৃত্য-- দুরন্ত বালিকা
বর্ষা মানেই প্রকৃতির মিলন বেলা।
জল থই থই পানা পুকুর, ব্যাঙের কনসার্ট, জোনাকি জ্বলা রাত।
বর্ষা মানে, ডিজে লাকড়ির ঘন ধোঁয়ার ঢল
মায়ের চোখে জল।
বর্ষা মানে একটি কচি মুখ ক্যানভাসে আঁকা
জামার ভেতর পুঁথিপত্র মাথায় কচুর পাতা।
ভাবতে বসে হঠাৎ প্রচন্ড ঝড়ে দমকা হাওয়ায় দরজা খুলে গেলে-----
বর্ষা মানে উপচে পড়া জল নিয়নের বাতি,
এক ফালি আকাশ,ভেজা দাঁড় কাক দু চারটি
আর ছোট্ট একটি ব্যালকনি।
শুভ্রা দেব
বিদ্যাজ্যোতি
বাবা ডাকের দিন যে গেছে
বাংলা তাই ব্যাকডেটেড,
মাম্মী ডেডির যুগ পড়েছে
ইংরেজি হচ্ছে আপ টু ডেট।
যেমন তেমন করে ভাই
অ, আ , ক , খ -র দিন পেরোয়,
মুখে ইংরেজি নামের বড়াই
অষ্টমেও দেখি খুশি বেজায় !
আগাছা ছাটাই বন্ধ তাই
শিক্ষা দীক্ষা লাফিয়ে বেড়ায়,
শাসন বারণের চিন্তা নাই
শ্রদ্ধাভক্তি আজ চুলোয় যায় ।
করোনাকালীন ঘোর সূচনায়
ক্লাস চলে মুঠো পথে,
অনলাইন ক্লাসের নয়া জমানায়
ছাত্র শিক্ষক যে যার পথে।
বনেদীয়ানা হাওয়া লেগে
বঙ্গ লেখতে অঙ্গ ফাটে ,
মধ্যবৃত্ত চলছে বেগে
বিদ্যাজ্যোতির তকমা এঁটে।
মৌসুমী রায়
রাধারাণী
অন্ধকারে ছাদের উপর
জোনাকিদের লুকোচুরি দেখতে দেখতে
ঝুপ্পুস করে বৃষ্টি এলো
ছুট্টে নীচে নেমেই তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম
বৃষ্টি নামার আগে সোহাগি ঝড়টা,
কোথায় যে হারালো?
জানালার গরাদে মাথা রেখে মনে পড়ছে
কত সাধ ছিলো "রাধারাণী " হব
তোর দেওয়া তুলসীমালা গলায়
গ্রামের মাঠে জলে কাদায় বনবাদাড়ে
তোর পিছু পিছু যাব।
তুই আঁচল আমার ভরে দিবি
বেগুনী কচুরিপানা ফুলে
আমিও তোকে আড়াল দেবো,
আমার কোলে ক্লান্ত হয়ে শুলে।
বাজের আওয়াজ স্বপ্ন ভাঙ্গায়
কবেই দু'জন ছিটকে গেছি
তুই আমায় গেছিস কবেই ভুলে।
হরিনারায়ন সেনগুপ্ত
দেবতা করোনা আমায়
তোমাদের মহানুভবতার কাছে,
বিনম্র মিনতি আমার–
মহিমা চন্দন লেপে , পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে,
এই অকিঞ্চন সত্ত্বা স্বরূপে
দেবত্ব করো না আরোপ।
ঢাক ঢোল কাঁসর ঘন্টা এত,
এত সম্মিলিত উচ্চকিত ধ্বনি–
কোন কোন দেবতার ,
তবুও সহজে ভাঙ্গে না ঘুম।
দেবত্বের কি অদ্ভুত বিড়ম্বনা–
দীর্ঘকাল ঘুমিয়েই কাটায়।
মানুষ ধূপ পোড়ায় , ঘি জ্বালায়,
নিত্য নতুন কামনা বাসনায়–
করে রাশি রাশি কুসুম চয়ন।
কোরকের অকাল মৃত্যু হয়–
ব্যথা পায় মূর্ছা যায় ফুলেদের মা।
ঘরে ঘরে সন্তানহারা জননীর
হাহাকার শোনা যায়,
ওঠে শুধু ক্রন্দনরোল ;
দেবতারা তবু থাকে
নিস্পৃহ নির্লিপ্ত নির্বিকার।
এখন দুঃখ যন্ত্রনায় সদা কাতর
একজন দরদী মানুষ
তার চে' বহু প্রার্থিত আমার।
সুস্মিতা মহাজন
খেয়ালিপোলাও
আলোর কাছাকাছি যেতে অনেকটা পথ বাকি,
কঠিন আঁকাবাঁকা পথ।
হারিয়ে যাওয়া প্রতিনিয়ত,
ভয় পেরিয়ে এককদম এগিয়ে।
সহজ অধ্যায় ছেড়ে কঠোর পাঠ,
একটা পুরো বই ছাপিয়ে যাবে শেষ।
গল্পটা নিতান্তই অজানা,
অজস্র নতুনত্বের ছোঁয়া গায়ে।
হাসতে গিয়ে নয়ন ঝরে ঝর্ণার,
সমুদ্রে ঠিকানাহীন তার উপসংহার।
চলতি পথে হোঁচট খেয়ে স্বপ্ন ভাঙ্গে,
বাস্তবতায় অলীক কিছু খেয়ালিপোলাও।
চন্দন পাল
কবুলনামা
শুনেছি,
প্রীত, প্রীতমের চোখ পড়তে পারে।
পারে নারী, পুরুষেরও।
কবিতা, তুইও কি পারিস?
কখনো যদি, সামনে এসে দাঁড়াস পড়ে নিবি কি তুই!
আমার চোখের সব আ-কথা কু-কথা?
মুখ ফোটে বলিনি যা সঙ্গীকে, তাও বুঝে যাবি?
ধুৎ তবে, সব মিছে! সব মিছে!
আমার কচুর বুদ্ধিও নেই, কখনো চোখ পড়িনি।
যে কথাগুলো পাতায় পাতায় ফেলে এসেছি।
সব ভুল,
শিরোনাম ধরে ধরে তুই তুলে ধরিস না।
বিনীতই বলছি, ব্রীড়ায় মরে যাবো---!
সত্যি । তারচে' তুই বরং --- দূরেই থাক।
আমি কল্পনায় বাকি বসন্ত ক'টা, চাপহীন এঁকে যাই ।
তাপস শীল
সন্তানের জন্য
অতুল'দা বিয়ের মাসখানেক পর সিগারেট টানতে গিয়ে বৌয়ের কাছে ধরা পরে, যদিও অভ্যাসটা অনেক আগের ছিল কিন্তু এবার হাতে -নাতে। সিগারেট নিয়ে অতুল'দার বৌ তাঁর উপর দু'তিন দিন ধরে মনমালিন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতুল'দার মা - বাবা ও অতুল'দাকে সিগারেট টানা নিয়ে বকাবকি করলে অতুল'দা স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি সিগারেট ছাড়তে পারবে না।
বিয়ের বছর চারেক পর অতুল'দা অফিস থেকে আসার পর তার মেয়ে ফুচকি কে যখন কোলে নিয়ে আদর করে ঠিক তখন ফুচকি বলে বাবা তোমার মুখে সিগারেটের গন্ধ। এই গন্ধটা আমার একদম ভালো লাগে না বাবা। তখন অতুল'দার হৃদয় মায়াবী হয়ে মেয়েকে কোল থেকে নামিয়ে সিগারেটের প্যাকেট টা হাতে নিয়ে বাইরে ডাস্টবিন্টে ফেলে দেয় এবং মনে মনে বলে যে অভ্যাসটা আমার মা-বাবা,এমনকি তোর মা পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারেনি আজ তোর এক কথায় চিরোদিনের জন্য সিগারেট ছেড়ে দিলাম ফুচকি।
রুপন সূত্রধর
পরমহংস
পরমহংস নমঃ নমঃ
তব আলোকে
আলোকিত জগৎ।
তব আগমন ধরা বুকে
নতুন দিশায়
ধর্মের আলোঘর।
প্রান বাঁচে,নয়ন জুড়ায়
তব ছবিপটে
আলোক জীবন।
সরল কথা, জীবন সুধায়
ভুবন মোহিত
জগৎ সংসার।
ধর্মের বিস্তার, সারথি বিবেক,
জয়গান রচিত
কলির অবতারে।
অভীককুমার দে
জীবনের জন্য
আমার কোনও গন্তব্য নেই
কেবল আছে অভিমুখ,
মাটি থেকে পা
উপরে ওঠানোর জন্য
সঞ্চয় করি একাগ্রতা;
এক পা শূন্যে উঠে এলে
অপর পায়ের কাছে জীবনের বিশ্বাস
শ্বাসটুকু চেয়ে নিই শূন্য থেকে।
পা যদি পুনরায় নেমে আসে
অন্তহীন পথের পথিক আমি,
যেতে চাই প্রকৃতির কাছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...