Wednesday, November 30, 2022

চন্দন পাল

হোঁচট 

রাস্তায় এক চতুর্দশীকে বললাম,,,
এই খুকি কাজ ফেল্, স্কুলে যা। পড়।
লেখা পড়া ছাড়া জীবনটা কি এমনিই যাবে!!

বললো, সবার জন্য খাবার নিশ্চিত করতে পারবে !
স্কুলে গেলে, আমি না হয় 'মিড ডে মিল'টা পাবো--
কিন্তু বাড়িতে আমার কুট্টুটা, সয্যাশায়ী মা' টা--  কী খাবে ? 
আর ওষুধ---!
বাপ তো সেই কবেই পালিয়েছে। কারওবা মরেছে।
আর থাকলেও বা সবার জন্য যোগাড় করতে পারে কই !
দুর্বল, অদক্ষ বলে, অর্ধেক দিয়ে তাড়িয়ে দাও।
দাও না !!

 ওফ্! যেন চাবুক!  ত্বরায় পালানোর পথ খুঁজি, 
চলতে চলতে হোঁচট খাই---
দেখি, তাঁরাতো নির্বল, অসহায় ছিল না কেহই!!
একবার দেশভাগ, একবার ভাষাভাগ, একবার দলভাগ করে করে গ্রামছাড়া করলে হাতে আর কত থাকে !?
ঝড় জল দাঙা ভূ-কম্পের মার তো আছেই।
দুচারজন না-হয়  বাঁছাইকর্তার পকেটে গুঁজে দিয়ে রেশনটা, চাকরীটা বাগিয়ে নিলো! বাকিরা ---
বাকি আরও সোয়াকোটি খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানহীন ।
সংস্কারহীন, শপথহীন, ঘরছাড়ারা ঘুরে ঘুরে বড় হয় শহরে বন্দরে, নৈশালয়ে।
তারপর বছরের পর বছর জন্ম দেয় আরও আরও ঝুপড়ি শিশু।
তারাও বড় হয়, আবার খাবার খোঁজে, কাজ খোঁজে।
কেউবা তাদের নিয়ে ব্যবসা ফাঁদে! 

ওফ্! আমার হোঁচট আর শেষ হয় না। 
বড় একা লাগে! 
বড় একা লাগে কর্মে ধর্মে  প্রতিনিধিত্বে।

যদি, একযোগে সবাই পূষন হতে পারতাম!!
তাহলে বলতে পারতাম--
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ! 

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...