Wednesday, November 30, 2022

জয় দেবনাথ

জলবেদনা

সাগরের কাছে গেলে নদীর জন্য মন খারাপ হয়। কতদূর চলে গেছি সমুদ্রবিলাসে, বাতাস শুধু। একটু বাদেই এই বাতাস দুঃশ্চিন্তা বয়ে নিয়ে এলো। মনে পড়ে বাড়ি ফেলে রেখে চলে এসেছি। বাড়িতে রয়ে গেছে স্বপ্ন। পরিচিত কণ্ঠস্বর। পাখিদের কলরব। আমাদের নদীটির কথা বড় বেশি মনে পড়ে। আজ কেমন কলকলিয়ে বয়ে যাচ্ছে কে জানে! অথচ, সমুদ্র দেখতে এসেছি বিলাসিতায়। সমুদ্রবিলাস। এ বিশাল সমুদ্র আমার না। অন্য কেউও এর মালিক নয়। আমাদের নদীটিরও মালিকানা নেই, তবুও এ নদীর আমাদের।নদীর জন্য বুকের ভেতর পোঁড়ে। সমুদ্রের জন্য তেমনটা হচ্ছে না।

জীবনের এই রহস্য নিকেতনের ঢেউ সমুদ্রের মতোই। সমুদ্রের সব ঢেউ তীরে ফিরে এসে লাগছে। যত বড় উত্তাল ঢেউ হোক, তার গন্তব্য তীরে। জীবনের গন্তব্য কোনদিকে? মৃত্যুর দিকে? শিল্পপতি জীবন, মেহনতি জীবন সব কী একদিকেই? প্রাপ্তির জীবন, অপ্রাপ্তির জীবন? আমার ধারণা জগতের এই রহস্যের ভেতর এক অঙ্ক আছে। ঐকিক নিয়মের। প্রকৃতিরও অসীম শক্তির ভান্ডারেও এক গোপন সীমাবদ্ধতা আছে। প্রকৃতি সবকিছুই ব্যালেন্স করে রাখে। অপার বিশালতা নিয়েও প্রকৃতির   দরকার হয়। 

মানুষ নিজের জীবনে যা পায়, তার জন্য তাঁকে কিছু হারাতে হয়। প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির ভেতর এক ভারসাম্য থাকে। বিনিময় ছাড়া কিছুই জীবনে আসে না। প্রকৃতি যেন শেখাতে চায় অপ্রাপ্তিতে ব্যথার কিছু নেই। আমি না পেলে তা অন্য কেউ পাবে। যা অন্য কেউ পাবে, সেটা আমার না। আমি যা পাচ্ছি, তা'ও খুব সম্ভবত অন্য কেউ হারাচ্ছে। প্রকৃতি যা করে, ভারসাম্য রেখেই করে।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...