Friday, March 29, 2019

মুখোমুখি : ড. রঞ্জিত দে

"কবিতা যেমন পাঠকের মনে খুব চটজলদি ছন্দ জাগাতে পারে, গদ্য সেটা পারেনা! কবিতা এবং গদ্যের মধ্যে প্রধান পার্থক্য বোধহয় এটাই!"
~ ড. রঞ্জিত দে

ড. রঞ্জিত দে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রবীণ লোকসংস্কৃতি গবেষকদের মধ্যে অন্যতম। ত্রিপুরা রাজ্যে সম্ভবত প্রথম লোকসংস্কৃতি বিষয়ক মুদ্রিত বইয়ের লেখক তিনি। দীর্ঘ সাহিত্যজীবন অতিক্রান্ত করে তিনি বর্তমানে বার্ধক্যের কবলে। মনন স্রোতের সাক্ষাৎকার বিভাগে উপস্থিত হয়েছেন তিনিও। মনন স্রোতেরর সাথে আন্তরিকভাবে আলাপচারিতায় ড. রঞ্জিত দে।

               || মুখোমুখি : রঞ্জিত দে ||

♦মনন স্রোত =>   আপনি বাংলা সাহিত্যের তদুপরি লোকসংস্কতি চর্চার একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। সংক্ষেপে আপনার লোকসংস্কৃতি গবেষণার জার্নির গল্পটা যদি বলতেন!

রঞ্জিত দে =>  আমার শৈশব কেটেছে সাব্রুমের ফেনী নদীর তীরে রানীবাজারকে বেষ্টন করা গ্রাম ছোটখিলে। বাড়ির পাশেই বিপিন কর্মকারের বাড়িতে বাৎসরিক কাজের কর্মী ছিলেন বলহরি দাস। তিনি ছিলেন লোককথার রীতিমত খনি বিশেষ। ছোটবেলায় মনে হয়েছে তার গল্প বলা যেন ফুরায় না! আমি স্কুল থেকে এসে ভাত খেয়ে সোজা তাঁর কাছে চলে যেতাম। তিনিও আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাকে দেখলেই যেন তাঁর গল্পের দোয়ারা ছুটত।  গল্প শুনে তাঁর সাথে ঘরে ফিরতাম। অন্যদিকে রানীরবাজারে একটা ঠাকুর বাড়ি ছিলো। নাম দামোদর বাড়ি। প্রয়াত পুরোহিত সতেন্দ্র চক্রবর্তী। তার এবং এলাকার উৎসাহী ব্যক্তিদের উদ্যোগে সারাবছর চলতো ঢকা কীর্তন, কবিগান, ঝুলন, পাঁচালী গান, লাঠিনাচ প্রভৃতি আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করতো। শৈশবে যখন বাঘের ভয়ে পাড়ায় পাড়ায় টিন পেটানোর আওয়াজ উঠতো তখন দূর্গাপুজায় বেজে উঠতো দোলের বাজনা!  এই ব্যপক মানুষের সংস্কৃতিই হলো লোকসংস্কৃতি। গ্রামীণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এগুলোকে লালন করছে। আমার সৌভাগ্য এই রকম সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে আমার শৈশব ও কৈশর অতিক্রান্ত হয়েছে। আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় আমার লোক সংস্কৃতি গবেষণার জার্নি এভাবেই পথ চলতে শুরু করে।

♦ মনন স্রোত => আপনার সাহিত্যচর্চায় আগ্রহ ও প্রবেশ কালটা কবে?

রঞ্জিত দে  => ছোটবেলা থেকেই অন্তমিলযুক্ত কবিতা আমাকে আকর্ষণ করতো। ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যবই অপেক্ষা নানা গল্প উপন্যাস পড়ার নেশা তৈরী হয়। কবিতা পড়ে আমার কবিতা লিখতে ইচ্ছে করতো। সেগুলো অনুকরণ, অনুসরণ করে কিছু কবিতা লিখেও ফেললাম। কিন্তু সেগুলো খুব অল্প সময়ে হারিয়ে যায়। আবার কলেজে গিয়ে অধ্যাপক ড. রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়েরর সান্নিধ্যে এসে "সৃজনী' নামক দেওয়াল পত্রিকা বের করতে থাকি অনেকে মিলে। উল্লেখ করা যেতে পারে সাব্রুমের সাতচাঁদের ফনি বিশ্বাস বাবুও অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ও কর্মপুরুষ ছিলেন। কলেজে যখন কবিতা লিখতে থাকি তখন অধ্যাপক ড. বিজন বিহারী পুরকায়স্থ বলতেন যে "গদ্য চর্চা করো - বইপত্র পড়ো!" গদ্যা চর্চার সুযোগও এসে যায়। তখন মহাপুরুষদের জন্মদিন, বিভিন্ন কোম্পানীর নানা উপলক্ষে প্রবন্ধ রচনার প্রতিযোগিতা প্রায় সারাবছর চোখে পড়তো। ব্যস এগুলোই লুপে নিলাম। এই ভাবে গদ্য চর্চার হাতে খড়ি। তারপর এম এ করি পাশাপাশি লোকসাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রটাও প্রাধান্য পায়।

♦ মনন স্রোত => আপনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কোথায় গ্রহন করেছেন?

রঞ্জিত দে =>  প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রথমে গ্রামের পাঠশালা (লতিফ মুহুরীর স্কুল, যেখানে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ছিলো) তারপর ব্রজেন্দ্রনগর লোয়ার ভার্মাকুলান। তারপর হাইস্কুল এবং কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেটে এম এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই লোকসাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী। (১৯৮৪)

♦মনন স্রোত => বর্তমান সময়ে লোকসংস্কৃতি চর্চার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন

রঞ্জিত দে = > বিদ্যা হিসেবে লোকসাহিত্য চর্চার প্রথম প্রকাশ জার্মানীতে ১৮১২ খ্রীষ্টাব্দের শেষভাগে। আমাদের দেশে ক্যারি সাহেব প্রমুখ এইরূপ উদ্যোগ নিলেও আমাদের দেশে লোকসাহিত্য চর্চার হাতেখড়ি দিয়ে যানন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু হাতেখড়ি নয়, এই বিষয়ে আমাদের গায়ত্রী মন্ত্রও কানে দিয়ে গেছেন। ত্রিপুরা রাজ্যে এই বিষয়ে প্রথম প্রকাশিত মুদ্রিত গন্থ পাই সুপরিচিত সমাজকর্মী ও প্রাক্তন মন্ত্রী বীরেন্দ্র দত্ত মহাশয়ের উদ্যোগে। সেই দিক দিয়ে বাংলার লোকসাহিত্য দেড়শ বছর অতিক্রম করলেও ত্রিপুরা রাজ্যের এই আলোচনা শতবর্ষের সন্নিকটে। লোকসংস্কৃতি চর্চার গতিপ্রকৃতি নিসন্দেহে বলিষ্ঠ ও সাবলীল হচ্ছে। কারণ লোকসংস্কৃতি প্রেমিকদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। "প্রতিদিন যাহা নিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন খণ্ড খণ্ড ভাবে সম্পন্ন হইতেছে, সাহিত্য তাহাকে ঐক্যসূত্রে গাঁথিয়া নিত্যকালের জন্য প্রস্তুত করিতে চেষ্টা করিতেছে।" (গ্রাম্য সাহিত্য রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর)

♦মনন স্রোত => আচ্ছা একটা কথা জানতে চাই আপনার কাছে, কবি সম্মেলন হয় কিন্তু লেখক সম্মেলন সেভাবে হয়না কেন?

রঞ্জিত দে => অভিধানগত ভাবে সাহিত্যের ভাব বা মিলন অর্থে সাহিত্য হলো কাব্য,নাটক,গল্প উপন্যাস ইত্যাদি সৃজনশীল শিল্পের মাধ্যমে এক হৃদয়ের সাথে অন্য হৃদয়ের সংযোগ। অর্থাৎ সাহিত্যকারের সাথে পাঠকের এক অনুরাগ বিনিময়। উল্লেখ করা যেতে পারে সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি। কারণ তাদের সংবেদনশীল হৃদয় এবং কল্পনা শক্তি।
আদি কবি বাল্মিকীর 'আদি কবিতায়'--
"মা নিস্পদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমসমঃ শ্বাশতী সমাঃ!
যৎ ক্রোষ্ণমিথুনাদেবমবধী কামমোহিতম!"
গদ্যে তাৎক্ষনিক শ্রোতাদের হৃদয়ে আবেদন সম্ভবত সহজ নয়। ছন্দমিল হেতু গ্রহনযোগ্য বলে কবিতা সম্ভব।

♦মনন স্রোত => আপনার পরবর্তীতে কি কি পরিকল্পনা আছে?

রঞ্জিত দে => পরিকল্পনা করে কাজ করা আমার পক্ষে হয়ে উঠে না! সে ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা নেই। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমার চলার গতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে । উচ্চ শিক্ষার কোন ভাবনা ছিল না। আমাদের গ্রাম সমৃদ্ধ এবং সুসংযত হলে প্রত্যস্ত গ্রাম এবং পরিকল্পনা ভারে খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান । ছোটবেলায় পৃথিবীর বাইরে যার বই পুস্তকে পড়েছি । কিন্তু সেই সব দেশে যার উচ্চশিক্ষা গ্রহন করব- সে চিন্তা হয়নি। কারন আমার বরাবরই মনে হত এসব পড়াশোনা আগরতলা কলকাতা প্রভৃতি  বড় বড় ছেলেমেয়েদের জন্য । কিন্তু কেমন জানি গোলমাল হয়ে গেল বিলোনীয়া কলেজ স্থাপিত হলে কর্মকর্তারা ঘোষণা দিলেন দরিদ্র  ছেলেদের লজির ব্যবস্থা থাকবে । চাকুরীর ব্যবস্থা ছিল কেন জানি না চাকুরী আমাকে আকর্ষণ করল না - আমি ছুটে গেলাম বিলোনীয়া। ইতিপূর্বে নবম দশম শ্রেণী ও লজিং থেকে পড়াশুনা করেছি। সেইজন্য জীবনের শুরু থেকে কোন পরিকল্পনা নেওয়ার শক্তির অভাব ছিল। বিলোনীয়া কলেজ যদি না হতো আমার পড়াশুনা কি হত আমি জানি না। ত্রিপুরার নদী জল মাটি আইনশৃঙ্খলা আমাকে আকর্ষণ করে । নদীটিতে বসত ছিল - নদীকে কেন্দ্র করেই একদা জীবন প্রবাহ এটাই পরবর্তী পরিকল্পনা ।

♦মনন স্রোত =>  নতুন প্রজন্মের কবি,লেখকদের আপনি কি বার্তা দেবেন? 

রঞ্জিত দে => আমাদের জীবনে ভাবনার ভার জানবার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল। বর্তমানে সেঠা অনেকখানি নেই । তদুপরি আমরা ছিলাম first generation আমাদের মা বাবা জানতেন না সহজ সরল  জীবনবোধ ও ধর্ম । ঈশ্বর ভাবনার জটিলতা ছুড়ে দিল। বর্তমানে নারী সভ্যতা ও সমাজ সভ্যতা আত্মকেন্দ্রিক জীবন ভাবনা অজান্তে মানুষকে গ্রাস করছে। তদুপরি অধিকাংশ হলেন second generation এদের মা বাবা লেখা পড়া জানতেন অনেকের আর্থিক ভাবনা খুবই উচ্চস্তরে। এদের জন্য বার্তা দেওয়া  খুব কঠিন তবু বলব, জীবনে আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব হার। খাতায় যে বলা হয়েছে -'সাতেকং শরণং প্রজ'- অর্থাৎ লোভ মোহ হিংসা চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। শুধু পাঠ্য বই থেকে না থেকে নানা গ্রন্থ পড়া উঠিৎ। অবশ্য বলা ঠিক নয় অনেকে পাঠ্য বইও পরে না । নিদিষ্ট খাতা থেকে প্রয়োজনীয় পাঠ গ্রহনেই উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করে ।

♦মনন স্রোত => আপনি সাব্রুম মহকুমার প্রবীন লোকসংস্কৃতি গবেষক।  সাব্রুমের সাহিত্যচর্চার সংক্ষিপ্ত একটা রূপরেখা জানতে চাই আপনার কাছে।

রঞ্জিত দে => সাব্রুম রাজধানী শহর থেকে সর্বদক্ষিণের একটি মহকুমা। মহকুমার দক্ষিণে ফেনী নদীর ওপাড়ে উত্তরে পার্বত্য  চট্টগ্রাম। এক সময় সরকারী কর্মচারী এই মহকুমারে আসতে চাইতেন না। পথে মনু নদীকে তখন কালাপাইনা নদী বলা হতো। কালাপানি পার হলে যেমন মধ্যযুগীয় লংঘকারে যেমন  ধর্মীয় বাধা নিষেধ ছিল সেই রূপ ভীতিভাব এখানেও তৈরী হতো । তারপর একদিন ত্রিপুরা সরকার লিখিত লোকের স্বল্পতার জন্য এরাজ্য কলকাতা কেন্দ্রিক কিছু শিক্ষিত লোকের শিক্ষতার চাকুরী দিয়ে এরাজ্য আমার সুযোগ করে দেন । তাঁদের মাধ্যমে রাজ্য সংস্কৃতির যে বিকাশে সাহায্য হয় - তেমনি সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রেও আমরা লাভবান হই।
    
এই মহকুমার সাহিত্যচর্চার অন্যতম দিক ছিল রাজ্যের একমাত্র হাই স্কুল সাবরুম রাজ্য একবার সাহিত্য সাময়িকীর প্রকাশ। নতুন লোকদের আত্ম প্রকাশ  ঘটত । কিছু দিন সেগুলো নিয়ে আলোচনা হতো তারপর রবীন্দ্র জন্মগত বার্ষিকী ছিল ভালো যোগ্য দিন-  নাট্যচর্চা ও স্বল্প পরিসর হলেও সাহিত্যচর্চা হতো ।

বর্তমানে আগরতলা বইমেলা আয়োজনে  এই ক্ষুদ্র মহকুমার বহু লেখক অশোকানন্দ রায়বর্ধন  , তিমিরবরণ চাকমা, বিজন বোস,  জয় দেবনাথ, বীরেন দাস , সাচীরাম মানিক, ক্রায়রী মগ,ড.রঞ্জিত দে, দুলালাশীল প্রমুখ।
 
সাময়িক পত্র প্রকাশ করেন সঞ্জীব   দে। তাঁর প্রকাশিত পত্রিকা 'বিজয়া' খুব সুনামের সঙ্গে সাবরুমে প্রকাশিত হচ্ছে । এছাড়া ড.রঞ্জিত দে সম্পাদিত অবিরাজীত সাময়িকীর লোকসংস্কৃতি দীর্ঘ সময় ধরে ফলে আসছে। সম্প্রতি হরিনা থেকে কবি বিজন বসুর সম্পাদনায়  " মনু থেকে ফেনী " প্রকাশিত হয়েছে এবং পাঠক মহলে খুব সাড়া ফেলে । বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এবং পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থা এবং ক্লাবের পক্ষে প্রতিবছর সাময়িকী প্রকাশিত হয় । যা বর্তমানে প্রজন্মের বিশাল সাহিত্যে সম্পদ ও তাঁদের সাহিত্য চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।

♦মনন স্রোত =>  মনন স্রোতকে আপনি কি পরার্মশ দেবেন?

রঞ্জিত দে => মননস্রোত এর কম সম্ভবত আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ ব্যবহার। অন্তত ত্রিপুরা রাজ্যে। পত্রিকাটি শুধু সাবরুম মহকুমার নয় ত্রিপুরাবাসীর গৌরব বহন করে একাদশ সংস্থা প্রকাশ করেছে । গ্রামীণ জনপদকে অতিক্রম করে রাজ্যের বহু এবং দেশ বিদেশের লেখক লেখিকা এই পত্রিকায় তাদের আবির্ভাব বা গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রকাশ করেছেন । এই ধরনের পত্রিকা নিঃসন্দেহে অভিনব। আমি  অভিনন্দন জানাই মননস্রোত ডট কমের সাম্মানিত এডিটর জয় দেবনাথ যাঁর পরিশ্রম ও মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রতিনিয়ত লেখি প্রকাশ করে যাচ্ছেন।

আমি মনে করি মানুষের প্রতি ভালবাসা দায়বদ্ধতা সৌন্দর্য সৃষ্টি এবং যেকোনো সৃষ্টির মূলকথা  বা শক্তির উৎস।পত্রিকায় বিভিন্ন বিভাগ ও নতুন দৃষ্টি ভঙ্গি পরিচয় - পত্রিকাতে সকলের প্রতিনিয়ত  গ্রহন যোগ্য করে তুলছে। সহৃদয় ও সম্মানিত পাঠকে অনুরোধ লেখার সম্পর্কে তাদের সুচিন্তিত ও গঠনমূলক আলোচনা  প্রেরণ করতে। পত্রিকার দীর্ঘায়ু কামনা করছি -বিস্তৃতি কামনা করছি ।

♦ মনন স্রোত => আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা আপনার দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা কামনা করছি।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...