Sunday, September 24, 2023

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা
.
বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷
আর কথা আসে না!
শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো
বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা।
তবু দেখি যন্ত্রণা...
যদি কোনো হস্তরেখাবিদ-
বলে দিত সত্য।
আমি ব্যোমকেশ হয়ে
খুঁজে নিতাম মৃত্যু।
প্রেমিকের দেওয়া লাল ওড়না
যার বিঁধেছে গলায়,
ছিড়ে গেছে যার শ্বাসনালী,
তাকে বলে দিতাম সত্য।
হয়তো, হাতের রেখায় মিলে যেত শব্দ।
মা-র দাঁতে ছিড়ে দেওয়া লাল সুতোয়
বুনেছি যে রুমাল-
তাতে মুছে নিতাম রক্ত দাগ, আর
উড়িয়ে দিতাম আদরে।
মেঘের পিঠে চাবুক পিটিয়ে
প্রার্থনা পৌঁছে যেত ঈশ্বরের ঘরে।
 
                                            

Tuesday, September 19, 2023

বিনয় শীল

চন্দ্রযান-৩

২০২৩-এর
মধ্যিখানে।
১৪ই জুলাই
আকাশ পানে।

এ ভারতের 
গৌরব গাঁথা
চন্দ্রযানের 
গমন কথা।

২৩শে আগস্ট 
সন্ধ্যা ছয়।
বিক্রম' করল 
চন্দ্র জয়।

যাচাই করবে
চাঁদের মাটি।
আরো যত 
খুঁটিনাটি।

বেজায় খুশি 
ভারত মিত্র।
শত্রু বলছে- 
গ্রাফিক্স চিত্র।

যে যা ভাবুক, 
সত্য অটুট্।
ভারত মাথে 
চন্দ্র মুকুট।

ভারত মেধা*
সফল, পূর্ণ।
অহংকারীর 
দর্প চূর্ণ।

বিশ্বটিকে 
অবাক করে। 
ভারত 'প্রজ্ঞান'
চাঁদের ঘরে।

ভারত গলায় 
বিজয়মালা।
এতেই কারোর
গাত্র জ্বালা।

ধন্য মোদের 
'ইসরো'
ভারত মাতার 
জয় হো।

Saturday, September 2, 2023

সুমন কান্তি সাহা

শৈশব


সুমন কান্তি সাহা


একদিন মনে হয় সেই শৈশবকালে চলে যাই!
.
শৈশবই আনন্দের।
এ নিষ্ঠুর সমাজে কিছুই পাই না
সে যেন বুঝেই না পৃথিবী কি দিতে চলেছে তাকে।
.
পিতামাতার কাছ থেকেই শিখে
জগত দেখা
.
হুট করে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে সে শৈশবে।
আনন্দ আর আদর পেতে ইচ্ছা করে বড়।
.
শিশু দেখলেই অনুভূতি জেগে উঠে আজ। 
তখন মনে হয় চলে যাই সে অবুঝের দুনিয়ায়।
যেখানে থাকবে না, লোভ ভয়, হিংসা।
র'বে শুধুই ভালোবাসা আর স্নেহ।

উর্মি সাহা

অবিশ্বাস্য

আমি মৃত্যুর মুখোমুখি বসে
কথা শুনেছি এক সজোর যাত্রার।
ভরা বাজারে নারীর মুখে, সুখের বদলে-
দেখেছি পূর্নগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
দেখেছি শরীরের ভেজা চোখ,
রোমকূপের লাল রেণু,
আর টিপ পড়া গোলাপি মুখ।
বেলা ফুরিয়ে গেলে-
ফকির বেশে মায়া আসে
পাশে বসে, কথা বলে-
দেখে যায় আমার লাল কালো মুখ।
আমার পাথর শরীর ভেঙে ফেলে,
মূর্তি গড়ে, নিয়ে যায়।
ঠিক হয় দিনক্ষণ-
শুরু হয় নবজন্ম।
অবিশ্বাস্য! অবিশ্বাস্য! অবিশ্বাস্য!
আবারও এক নতুন জন্ম-
শুরু হয় ভাঙ্গা গড়ার কাজ;
মুক আর বধিরের মত আমি আবার দেখি-
ডাক দেই নতুবা জড়িয়ে ধরি!
                                       

Thursday, June 29, 2023

মনন স্রোতে আপনাকে স্বাগতম

সম্পাদকীয়

কবিতার গোপনকথা সংসাররূপ জলাশয়ে মেশা এক ক্ষরস্রোতা নদী। চোরাবালির মতো প্রতিটি লাইন। কোথায় কে কতটুকু ডুবতে পারে, তা নির্ভর করছে ওজনের উপর। আমি উপরেই হেঁটে আসি হালকা বলে। বিনম্র বলছি এ সংখ্যাটি অতি স্বল্প এবং কিছু সংখ্যক নতুনমুখ। মার্জনাপূর্বক পাঠের আমন্ত্রণ জানাই। সারা রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার বাছাইকৃত তরুণ প্রজন্মের কবি। স্কুল পড়ুয়া প্রতিভা প্রকাশের এক অনু উদ্যোগ রয়েছে এতে। যারা লিখেছেন, তাঁরা আরও লিখবেন আজীবন লিখবেন - এ আশাটুকু বুকে রাখি। সবাইকে কৃতজ্ঞতা। প্রণতি।

শ্রদ্ধা-সহ
জয় দেবনাথ
সম্পাদক
মনন স্রোত 


মনন স্রোত - জুন - ২০২৩

দেবজিৎ সাহা

পিতৃশোক

ক'দিন আগে দাদু মারা গেলেন। মৃত্যুর আগের রাতেও কত কথা বললেন। এ দুঃখ সামলানোর ভেতরই আমার বাবা অসুস্থ। শুনলাম বাবার অষ্ট্রেলিয়ান জণ্ডিশ। বাইরে কোথাও নিয়ে চিকিৎসা করালো সকলে, বাবা কোনোভাবেই সুস্থ হয়নি।  পরবর্তী সময়ে আমাদের রাজ্যের ডাক্তারদের অধীনে বাবার চিকিৎসা চলতে থাকে। একমাস বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হলো। আমার বয়স তখন খুবই কম। কোনোকিছুই বুঝছি না। তখন শুধু এতটুকু বুঝেছিলাম বাবার খারাপ একটি অসুখ করেছে, তবে সবাই বলছে সুস্থ হয়ে যাবে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর, একদিন সকাল নয়টায় আমার দিদা হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম বাবা সুস্থ আছে কি না! দিদা বললেন সুস্থ আছেন। বাবা ঠিক আছেন। তবু দিদা কাঁদছেন। কেন কাঁদছেন তখন বুঝতে পারছিলাম না। তার কিছুক্ষণ পর আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি থেকে কিছু আওয়াজ আসছে। আমি দৌঁড়ে গিয়ে দেখি সবাই আমার বাবাকে শুইয়ে সবাই আগলে ধরে আনছে। আমি তখন বুঝেছি বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। আমার মা কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন। সেদিন থেকে এক অন্য জীবন হয়ে গেছে আমার। যে জীবনে বাবা নেই।  

অমিত রুদ্র পাল

বৃষ্টি

তুমি কি আমার বৃষ্টি হবে
আমার শুষ্ক
অপতিত বুকে
অবিশ্রান্ত ধারা হবে?
 
তুমি অবশ্য চাইলে 
ঝরণা হতে পারো,
ভোরের কলরবে
মধুর কলতানে 
ঘর ফেরার পাখি 
হতে পারো।

জয়িতা দে


মা

'মা' শব্দটি ছোট্ট হলেও ব্যাপকতায় বিশাল।
দশমাস দশদিন গর্ভধারণের শক্তি তুমি,
তোমার স্নেহরসসিক্ত সুধাপানে লালিত হ‌ই মোরা।
মাগো, তোমার জন্য জীবনের প্রতিটা দিন অমূল্য;
তোমার শাসনে যেমন ভালোবাসার পরশ পাই,
তেমনি সারাজীবন পাশে থেকে শক্তি জোগাও তুমি।
সংসারের সকল কাজের পরেও পাও শুধুই লাঞ্ছনা;
বুঝে না তোমায় কেউ - তুমি যে ত্যাগের প্রতিমূর্তি।
তুমিই পথচলার শুরু, মোদের প্রথম শিক্ষাগুরু,
তুমিও যে ধরিত্রীমায়ের ন্যায় স্নিগ্ধ আর সহনশীলা;
হয়তো তোমার নামের অনেক প্রতিশব্দ রয়েছে-
কিন্তু,'মা' এই ছোট্ট শব্দটিতেই মাথা ঝুঁকাই সর্বদা।

      ‌‌              

সায়ন পাল

মুক্ততা

মনের গহীনে অস্পষ্ট মুখের আভা,
পরিচিত তবে খানিকটা পুরোনো।
সেই কবে দুরন্ত বিকেলে উড়ন্ত আঁচল,
শেষ চিহ্ন রেখে গিয়েছিল তারপর কি রেখেছে খোঁজ কখনো!
না, মনের অতল হতে কোন অতীত ভেসে আসে না।
বাস্তবতার মোড়ক অতীতের উপর ঢাকনা ফেলেছে,
মুছে নিয়েছে চোখের জল।
তবুও মিলনমুখি বসন্তের সমীরণে,
বাতাসে উদাসীনতার গন্ধ আসে।
কিন্তু ওই যে বললাম বাস্তবতা,
ভয়ংকরী রূপে যেন তাকে দূরে ঠেলে দেয়।
বিষাদের বিষে অমৃত ভাব আনে।
একলা মন আর ওই নীলাভ আকাশ মুখোমুখি,
শত পক্ষী উড়ে গেলেও একাকীত্বে ডুবে আছে ওই আকাশ,
তবুও বিষাদ নেই আছে মুক্ততার আশ্বাস।

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...